সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু রাজনীতিতে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি ৷ আর সেই অধ্যায়ের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান রাজনীতির একাধিক কুশীলব। তাঁদেরই একজন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ বাকিদের মতো তিনিও শোকস্তব্ধ ৷ অনেকটা স্মৃতিমেদুরও ৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরুর দিকের ছবি শেয়ার করে সেই বিষয়টিই মনে করালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
যে ছবি তাঁর ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের যৌবনে তোলা ৷ ছবির ক্যাপশনেও তা স্পষ্ট। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেখানে লিখেছেন, ‘‘সেদিন কলেজ জীবনে সুব্রতদা’র সাথে।’’ শুক্রবার বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়েও কলেজ জীবনের নানা গল্প শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আশুতোষের ছাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছাত্র রাজনীতিতে উত্থান যে সুব্রতবাবুর হাত ধরে, তাও জানাতে ভুললেন না তিনি ৷
তিনি জানিয়েছেন, একডালিয়া পার্কে একটা রেশন দোকানের উপরে থাকতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ সেখানেই তাঁর সঙ্গে প্রথম দেখা হয় পার্থবাবুর ৷ প্রথমে একটু অবাকই হয়েছিলেন ৷ কোনও নেতা যে এমন অপরিসর জায়গায় থাকতে পারেন, তা বিশ্বাসই করতে পারেননি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ৷
এরপর রাজনীতিতে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক যেমন তৈরি হয়, তেমনই তৈরি হয় পারিবারিক সম্পর্কও ৷ একসঙ্গে দলের কাজ দু’জনে করেছেন ৷ আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় গত দশ বছর ধরে দু’জনেই গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেছেন ৷ বিধানসভাতেও পাশাপাশি বসতেন ৷ সেই কথা মনে করাতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
দীর্ঘদিনের এই পথচলার নানা অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে পার্থবাবু শোনালেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভূতে ভয় পাওয়ার কথা ৷ রাতে আলো জ্বালিয়ে সুব্রতবাবু ঘুমোতেন বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
Be the first to comment