রাজ্য সরকার আগে থেকেই চাইছিল কলকাতা–হাওড়ার পুরসভা নির্বাচন হোক ১৯ ডিসেম্বর। সেই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল নবান্ন। সেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুরদফতরের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আলোচনা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২১ নভেম্বর দুই পুরসভার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে। ২৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তারপর ভোটগ্রহণ হবে ১৯ ডিসেম্বর, রবিবার। আর গণনার দিন ঠিক হয়েছে ২২ ডিসেম্বর, বুধবার। আপাতত এটুকুই।
এই বিষয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘দুই পুরসভার বকেয়া নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাই চিঠি দিয়ে নির্ঘণ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্চায়েত এবং পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। তাই তাঁরা তা ঠিক করে শীতেই করতে চায় এই দুই পুরসভার নির্বাচন। তারপর বাকি পুরসভার নির্বাচন করা হবে।
এই দুই পুরভোটের নির্ঘণ্ট চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিতে রাজ্যের পুরদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, দুই পুরসভার বকেয়া পুরভোটের নির্ঘণ্টের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পুরসচিব খলিল আহমেদ। সুতরাং আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের দামামা বেজে যেতে চলেছে বলে খবর।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, পুরনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা–হাওড়ায় সরকারি প্রশাসনে নির্বাচনী বিধিনিষেধ কার্যকর হয়ে যাবে। সংরক্ষণের কোপে পড়ে কলকাতার চার মেয়র পারিষদ এবং দুই বরো চেয়ারম্যান নিজেদের পুরনো ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন কত পুলিশ, কত ভোটকর্মী প্রয়োজন তার হিসাব করা হয়েছে।
Be the first to comment