উৎসবের মরসুমে কেন বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হল? এই প্রশ্ন আগেই তুলেছে বিজেপি ৷ বিধানসভায় তাঁরা থাকবেন না বলে জানিয়েও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ মঙ্গলবার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের এই আচরণকেই কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একইসঙ্গে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে নাম না করে বিঁধলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও ৷
কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে ৷ সেই অধিবেশনে মঙ্গলবার ভাষণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর ভাষণে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার ফাঁকে ফাঁকেই কটাক্ষ করলেন বিরোধী বিজেপিকে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিরোধীরা বিধানসভাকে বিধানসভা বলে মনে করেন না ৷ বিরোধীরা নিজেদের খুশি মতো আসেন, যান ৷
সোমবার কলকাতায় পেট্রোপণ্যের কর কমানোর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিজেপি ৷ সেই নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর বক্তব্য, কাজের কাজ কিছু নেই ৷ উত্তরপ্রদেশ ভোট আসছে ৷ লোক দেখানো দাম কমিয়েছে ৷ কিছুই করেনি ৷ না করে আন্দোলন নেমেছে ৷ আন্দোলনের আ জানে না ৷ রাজ্য সরকারকে সব দিতে হবে ? নিজের ভাষণ শেষ করার ঠিক আগে মমতা বলেন, ‘‘বিরোধী দলকে আমার কিছু বলার নেই ৷ শুভ বিজয়া, শুভ দীপাবলি, শুভ ছটপুজো, শুভ অহঙ্কার ৷’’
যদিও তার আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে একবারও তিনি রাজ্যপালের নাম মুখে আনেননি ৷ বরং বারবার বিধানসভায় অধ্যক্ষের গরিমার কথা তুলেছেন ৷ বিধানসভায় অধ্যক্ষই শেষ কথা হওয়া উচিত, সেটাও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ৷
আজ বিধানসভায় সদ্য নির্বাচিত চার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শপথ নেন ৷ তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান স্বয়ং অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু মাসখানেক আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও দুই তৃণমূল বিধায়ক শপথ নেন, তখন তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ যা নিয়ে সেই সময় ব্যাপক হইচই পড়েছিল ৷
এদিন মমতা যা বলেছেন, তা থেকে সেই ঘটনার দিকেই তিনি ইঙ্গিত করেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ কী বলেছেন মমতা ? তাঁর কথায়, ‘‘শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে ৷ স্পিকার শপথ করিয়েছেন ৷ স্পিকারের কাজ স্পিকার করবে ৷ সবকিছু আমি করব। এটা হয় না ৷’’
Be the first to comment