“মহিলারা তো তিনদিন আগে ছটপুজো শুরু করে দেন। যেমন আমি। আমি শুধু চা খেয়েছি। আর কিছু খাইনি। কারণ মঙ্গলবার থেকে আমিও ছট পুজার ব্রত রেখেছি।” মঙ্গলবার ছট পুজোর উদ্বোধনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি সব ব্রত পালন করি। দুর্গাপুজোয় যেমন করি, কালী পুজোয় করি। রমজান মাসেও আসি। বড়দিনের প্রার্থনাতেও যাই।”
মমতা জানান, আগে ছট পুজো উপলক্ষে রাজ্যে একদিন ছুটি থাকত। পরে তিনি জানতে পারেন ছট পুজো আসলে দু দিনের। তাই এবার থেকে দুই দিনের ছুটি থাকছে। এর পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলারা তো তিনদিন আগে ছট পুজো শুরু করে দেন। যেমন আমি। আমি শুধু চা খেয়েছি। আর কিছু খাইনি। কারণ কাল থেকে আমিও ছট পুজার ব্রত রেখেছি। আমি সব ব্রত পালন করি। দুর্গাপুজোয় যেমন করি, কালী পুজোয় করি। রমজান মাসেও আসি। বড়দিনের প্রার্থনাতেও যাই।”
সর্বধর্ম সহিষ্ণুতার কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গুরু নানক হোক, মহাবীর জৈন হোক, সব ধর্মের জন্য… ‘আমরা চাই মানুষ সব ধর্ম পালন করতে পারুন। শুধু ছট নয়, গণেশপুজো করি। এখন বাংলায় প্রচুর গণেশ পুজো হয়। গঙ্গা সাগর মেলা হয়।’ বলেন, বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে ৩০ লাখের বেশি মানুষ আসেন। খুশি হয়ে যান। আাগে এমন অবস্থা ছিল না। তাঁর আমলে গঙ্গা সাগর মেলায় উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বিজেপিকে খোঁচা দেন মমতা। তাঁর কথায়, “আচ্ছে দিনের কথা বলে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে খারাপ দিন আনি না। নোটবন্দি করি না। আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করতে হয়। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড করতে হয়। বিনামূল্যে রেশন দিতে হয়। সব পুজোকে সাহায্য করতে হয়। সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হয়।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সবই মানবতার জন্য। হিন্দিতে তিনি বলেন, ‘ইনসান কো ইনসানিয়াৎ মিলে। মর্যাদা মিলে।’ আবার নিজের হিন্দি বলার দুর্বলতার কথা জানিয়ে আবার মমতা বলেন, তাঁর ‘টুটাফাটা হিন্দি’ নিয়ে যেন আবার ‘কন্ট্রোভার্সি’ না হয়।
আবার ছট পুজোর প্রসাদ ঠেকুয়া খেতে চেয়ে উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মমতার মন্তব্য, “এক-দুটো পাঠাবেন। বেশি ঠেকুয়া পাঠাবেন না। বেশি খেলে ১০০ কেজি হয়ে যাবে আমার।” “আগে শক্ত হত ঠেকুয়া। এখন নরম হয়। খেতে ভাল লাগে। কিন্তু বেশি খাওয়া হয়ে যায়। ওজন বেড়ে যায়।” হাসতে হাসতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে ছটপুজো সূর্য পত্নী ছঠি মাইয়ার পুজো। ছট মাতাকে আরেক মতে উষা বলা হয়। এই পুজোয় কোনও মূর্তি স্থাপন করা হয় না।
Be the first to comment