শুক্রবার সকালে বিএসএফ জওয়ানের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনার জল অনেকদূর গড়াল। এই ঘটনায় বিএসএফের এবার রিপোর্ট তলব করা হল। কোচবিহারের সীতাই এলাকাটি গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের আওতায় পড়ে। তাই সীতাই সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্তার রিপোর্ট তলব করল গুয়াহাটি বিএসএফের আইজি। যারা নিহত হয়েছে তারা গরু পাচারকারী ছিল বলে কোনও তথ্য প্রমাণ আছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এমনকী ঠিক কী ঘটেছিল? কতজন জড়ো হয়েছিল? গুলি চালাতে হল কেন? এমন ৬টি প্রশ্ন জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করলেন গুয়াহাটির আইজি। একই সঙ্গে এই ঘটনার দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের সময় কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। তখন অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। মারা গিয়েছিলেন চারজন।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে গরু পাচার করতে যাচ্ছিল এমন একজন ভারতীয় নাগরিক এবং দু’জন বাংলাদেশের নাগরিককে গুলি করে বিএসএফ। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। গরু পাচারের অভিযোগে গুলি চালানো হয়েছিল বলে দাবি বিএসএফের। বিএসএফের বক্তব্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেখানে আটক, গ্রেফতার করা যেত সেখানে কেন গুলি চালানো হল? উঠেছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই কোচবিহারের সীতাইয়ে এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষেপে উঠেছে। অনেকেরই বক্তব্য বিএসএফ এখানে অত্যাচার চালায়। এদিকে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে মোদী সরকার। তা নিয়ে রাজ্যের ক্ষোভ রয়েছে। সেখানে এই ঘটনা বিএসএফকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাঝ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক চলছে। সেখানে এই বিষয়টি উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিএসএফের সরকারি বক্তব্যের পরই প্রকৃত ঘটনা স্পষ্ট হবে।
Be the first to comment