একদিকে সিতাইকাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সেই ঝড়কেই সরিয়ে রেখে বিধানসভায় নয়া প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে ১৮৫ নম্বর ধারায় আগামী মঙ্গলবার বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা হবে।
সূত্রের খবর, বিএসএফ নিয়ে আলোচনায় বিধানসভায় থাকতে পারেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে দেড় ঘণ্টার এই আলোচনা পর্ব রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে কোনও ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করতে নারাজ রাজ্য।
শুক্রবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভায় আমরা বিএসএফের নজরদারির যে সীমানা যা ১৫ কিলোমিটার ছিল, যাকে বাড়িতে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা ১৮৫ বিধানসভার যে রুল তাতে একটা আলোচনার জন্য এনেছি। সেটা গৃহীত হয়েছে। ১৬ তারিখ তা নিয়ে আলোচনা হবে। দেড় ঘণ্টার আলোচনাপর্ব।
বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হলে তার প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়ে বলতে গিয়ে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজও তো দেখলেন একটা ঘটনা ঘটল। আমাদের ভয়টা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে, রাজ্য পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তা সামলাচ্ছে। সীমানা সামলানোর দায়িত্ব বিএসএফের। এখন এরকম কিছু হলে নিশ্চয়ই সমন্বয়ের অভাব ঘটবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিএসএফ অ্যাক্টে অনুমোদন নেই। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে বিজ্ঞপ্তি, যে চিঠি তা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করব।
এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অলিখিত এজেন্ডা হল ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী সে বিএসএফ হোক, সেনাবাহিনী হোক তাদের কালিমালিপ্ত করা। তাতে আমাদের শত্রু রাষ্ট্রদের সুবিধা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের যে নেতারা সীমান্তে রাজনীতি করেন তাঁরা গরু পাচারে যুক্ত। গরুগুলো তো প্যারাশুটে চেপে সীমান্তে গিয়ে পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় সড়কপথ ধরেই পৌঁছয় সীমান্তে। সে সব রাস্তা পুলিশের এক্তিয়ারভূক্ত।
Be the first to comment