মণিপুরে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা, কম্যান্ডিং অফিসার ও পরিবার-সহ মৃৃত ৬

ঘটনার তীব্র নিন্দা মোদী, মমতা, রাহুলের

Spread the love

বছর ঘুরতেই বিধানসভার ভোট। তার আগেই জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত মণিপুর। মায়ানমার সীমান্তের কাছে সেনা কনভয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে বিপ্লব ত্রিপাঠী নামের ৪৬ তম অসম রাইফেলের এক কম্যান্ডিং অফিসার, তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং ক্যুইক রেসপন্স টিমের ৩ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছ । সেনা সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক কালে এই ধরনের হামলার সাক্ষী হয়নি মণিপুর।

শনিবার রাজধানী ইম্ফল থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে, মায়ামমার সীমান্তের কাছে চূড়াচন্দপুর জেলার সিঙ্ঘাত মহকুমা এলাকায় এই হামলা হয়। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা নাগাদ অসম রাইফেলের একটি কনভয় সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই হামলা চালায় একদল জঙ্গি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সকলের।

এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী নোংথোম্বম বীরেন সিং। টুইটারে তিনি লেখেন, ৪৬ তম অসম রাইফেলের কনভয়ে কাপুরুষোচিত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি ৷ এক জন কম্যান্ডিং অফিসার, তাঁর পরিবার এবং কয়েক জন জওয়ান মারা গিয়েছেন ৷ রাজ্যের বাহিনী এবং আধা সেনা জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ৷ অপরাধীরা সাজা পাবেই ৷

পাশাপাশি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি ৷ তবে এই হামলার পিছনে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির হাত রয়েছে বলে সন্দেহ সেনার ৷

উত্তর-পূর্বের সীমাস্ত সংলগ্ন অন্যান্য রাজ্যের মতো মণিপুরও উগ্রপন্থীদের ডেরা। স্বশাসন এবং ভারত থেকে পৃথক হওয়ার দাবি নিয়ে লড়ে চলেছে তারা। তা রুখতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সেখানে সেনার বজ্রআঁটুনি চলছে। এর আগে, ২০১৫ সালে সেখানে জঙ্গি হামলায় ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*