এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। জানা গিয়েছে, চাকরিপ্রার্থী তালিকায় রয়েছে ৪৭৪ জনের নাম। এদিকে শূন্যপদ রয়েছে ৪৭৮টি। তালিকায় যে সমস্ত প্রার্থীদের নাম রয়েছে তাঁরা শীঘ্রই নিয়োগপত্র পাবে বলে জানা গিয়েছে। এই তালিকা প্রকাশের খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।
২০১৪ সালে TET এর ভিত্তিতে যে পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা হয়েছিল তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর এবার তাঁদের নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, ৪৭৪টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে মেধাতালিকা। প্রকাশিত এই নিয়োগ তালিকাটিতে ৩০০ জনের বেশি সংশ্লিষ্ট আন্দোলন করা প্রার্থীদের নাম রয়েছে যাঁরা প্রথম মেধা তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত বছরই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিদ্যালয় সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন। তাঁদের নিয়োগের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। এরপরেই তৎপর হয় রাজ্য। এই চাকরিপ্রার্থীরা অফলাইনে আবেদন জানিয়েছিল। প্রত্যেকের আবেদনের ভিত্তিতে স্ক্রুটনির জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ৪৭৪ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে TET পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ২০১৮ সালে জানান, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীররা ভুল প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছেন তাঁদের পূর্ণ নম্বর দিতে হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় CBI অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও সেই রায় খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ে তিন সপ্তাহের জন্য স্থাগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। SSCগ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলার অনুসন্ধান CBI-এর হাতে তুলে দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেছিলেন, ‘কমিশন সুপারিশ না করলে, কীভাবে নিয়োগপত্র দিল পর্ষদ? কোন অদৃশ্য হাতে এই সুপারিশ পর্ষদে পৌঁছল, কারাই বা জারি করল?’ এই যাবতীয় বিতর্কের মধ্যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিঃসন্দেহে খুশির খবর বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহলের একাংশ।
Be the first to comment