‘ত্রিপুরায় এত হিংসা কেন?’, পুরভোটের আগের রাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ মমতার

Spread the love

 রাত পোহালেই ত্রিপুরার পুরভোট। তার আগে সে রাজ্যের হিংসা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নালিশ জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি জানান, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে ত্রিপুরার অশান্তি নিয়ে বলেছি। ত্রিপুরায় এত হিংসা কেন?” উত্তর-পূর্বের রাজ্যে দলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারি নিয়েও সরব হন তিনি।

দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বেরিয়ে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, “ত্রিপুরায় প্রচার করতে গেলে হামলা হয়। সাংবাদিকরা গেলে ঘর পায় না। কোভিডের নামে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সব বলেছি।” সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারির কথাও তাঁকে জানিয়েছেন বলেও জানান মমতা। তাঁর কথায়, “সায়নীর মতো এক শিল্পীর বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় মামলা হয়েছে। এগুলো কি ঠিক?” পুরভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এহেন নালিশ জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদেরা।

পুরভোটের আগে ফের আইনি গেঁরোয় জড়ালেন আইপ্যাকের সদস্যরা। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় ভোটকুশলী সংস্থার ২৩ সদস্যকে নোটিস দিল ত্রিপুরা হাই কোর্ট। এদিকে নির্বাচনের আগের দিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল কলকাতার নারকেলডাঙা থানায়। সবমিলিয়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।

ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থশঙ্কর দে জানান, বেশকিছুদিন আগে তৃণমূলের ভোটকুশলী সংস্থার সদস্যদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। সেই সময় আদালতে গিয়ে জামিন নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু আদালত জানিয়েছিল, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। ডাকলেই থানায় হাজিরা দিতে হবে। দু’বার নোটিস পাঠিয়েও তাঁদের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এর পর ত্রিপুরা সরকার আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাঁদের আরজি মেনে আইপ্যাকের সদস্যদের নোটিস পাঠাল আদালত।

এদিকে কলকাতার নারকেলডাঙা থানায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিপ্লব দেবের ওএসডি (অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি) সঞ্জয় মিশ্রের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের দিনই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদিও এদিন তিনি আসতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে বাংলায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় অবাক বিপ্লব দেবের ওএসডি-ও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*