মেঘালয়ে কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা অন্তত ১২ জন বিধায়ককে নিয়ে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। এর ফলে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হবে ৬। সেই হিসেবে মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল হতে পারে তৃণমূল।
২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুকুল। বর্তমানে তিনি ওই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পূর্ব গারো পাহাড়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল দল ছাড়লে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কিন্তু মুকুল হঠাৎ কেন কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস দেড়েক আগে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত লোকসভার সাংসদ ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। তার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ শুরু মুকুলের। এত দিনে তা পরিণতি পেল।
যদিও কিছুদিন আগেও তাঁর দলবদলের জল্পনা উড়ি দিয়েছিলেন সাংমা। তবে সূত্রের খবর, তিনি যে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন, সেটা বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রকট হচ্ছিল। এখন সাংমার সঙ্গে সঙ্গে ১২ কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়া ঘাসফুলের বড় চমক বলাই যায়।
ত্রিপুরায় সুস্মিতা দেবের মতো নেত্রী কংগ্রেস ছেড়েছেন। গোয়াতেও ক্ষমতা বাড়াচ্ছে তৃণমূল। তাছাড়া, কীর্তি আজাদের মতো নেতা যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। যদিও তাতে ভাঙলেও মচকাতে চাইছে না কংগ্রেস। অন্তত প্রকাশ্যে তারা তেমনটাই বোঝাচ্ছে। যেমন, এদিনই কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, কিছু নেতাকে তৃণমূল নিচ্ছে বটে, তবে এমন একটি নাটকে তাঁদের কিছু যায় আসে না। এতে কংগ্রেসকে দুর্বল করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায় “আমরা এই সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না… কেউ যদি আমাদের দল থেকে লোক নিয়ে যায়, তাতে কিছু যায় আসে না। কেউ যদি ভাবছে যে তারা একদিন কংগ্রেসকে ধ্বংস করতে পারে, সেটা হওয়ার না। অনেকেই এর আগে এই ধরণের চেষ্টা করেছে।”
Be the first to comment