সদ্যসমাপ্ত বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল ২০২১ পাশ হলেও তাতে এখনও অনুমোদন মেলেনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। ফলত পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা । সোমবারই রাজ্য়পাল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে সংশোধনী বিল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রাজভবনে চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। কালবিলম্ব না করে তা জগদীপ ধনকড়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন অধ্য়ক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ ১৮ দফা আপত্তি তুলে সেই বিল ফেরৎ পাঠালেন রাজ্যপাল ৷
পুনরায় বিল সংক্রান্ত বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল ৷ সদ্য শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হাওড়া পুরনিগম থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় সংশোধনী বিল আনে সরকারপক্ষ। এই বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে স্বাক্ষরের জন্য যায় রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপালের সম্মতি পেলেই এই বিল কার্যকর করা যেত ৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর তো এই বিলে সম্মতি দিলেনই না, উল্টে বিল সংক্রান্ত 18 দফা আপত্তি তুলে তা সরকারপক্ষের কাছে ফেরত পাঠালেন।
একইসঙ্গে তিনি টুইট করে জানালেন, সংবিধানের আর্টিকেল ২০০ অনুসারে এই বিলের আরও ব্যাখ্যা প্রয়োজন। ঘটনায় হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন নিয়ে তৈরি হল আরও অনিশ্চয়তা। রাজ্যপালের সম্মতি না পেলে হাওড়া পুরনিগম থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় পুরনো হাওড়া পুরনিগমের চেহারাকে অক্ষত রেখে ভোট করা যেতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এমনিতেই রাজ্য সরকার চেয়েছিল আগামী ১৯ ডিসেম্বর রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ পুরনিগম হাওড়া এবং কলকাতার ভোট সম্পন্ন হোক। সেক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মুখাপেক্ষী হয়েছিলেন কতদিনে তিনি এই প্রস্তাবে সই করেন।
তবে এদিন রাজ্যপালের টুইট এবং তাঁর ১৮ দফা আপত্তির কথা বলে সংশোধনীর দাবি জানানোয় এবং আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও চাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে হাওড়ার পুরভোট করা নিয়ে চরম জটিলতা তৈরি হল।
Be the first to comment