জল্পনা ছিল আগে থেকেই। অবশেষে ত্রিপুরার পুরভোটের আগের রাতেই ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা জানান মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। তিনি একা নন, রাতারাতি দলের ১১ জন বিধায়ককে নিয়েই তৃণমূলে চলে আসছেন প্রবীণ নেতা। এতে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা একলাফে ১৮ থেকে কমে দাঁড়াবে ৬। এর ফলে মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল এখন তৃণমূল কংগ্রেস।
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন শিবির বদল? বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানালেন, তাঁর দল ছাড়ার অন্যতম কারণ হল, রাজ্যে বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যর্থতা। এদিন দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংমা বলেন, ”মানুষের সেবার করার ইচ্ছেতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমরা নিশ্চিত ছিলাম সরকার আমরাই গড়ব। কিন্তু আমরা তা করে উঠতে পারিনি। বরং নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের সদস্যদের ভাঙানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়ে যায়।”
মোট ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য়, ”রাজ্যের সেবা করার প্রতি দায়বদ্ধতাই সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। বিরোধী হিসেবে আমাদের যা কর্তব্য তা আমরা করে উঠতে পারিনি। দেশের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পারেনি কংগ্রেস।”
প্রসঙ্গত, মেঘালয়ে কংগ্রেসের অন্দরে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছিল। বিশেষ করে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা এবং কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি ভিনসেন্ট এইচ পালার সম্পর্ক বহুদিন ধরেই অম্লমধুর। সাংমার অভিযোগ ছিল, পালাকে প্রদেশ সভাপতির পদে বসানোর আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেনি দলীয় নেতৃত্ব। ক্ষোভের সূত্রপাত সেই থেকেই। এর পর বিভিন্ন ইস্যুতে দু’ জনের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। সম্প্রতি দু’ জনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড রাহুল গান্ধী। মনে করা হচ্ছিল, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে।
এদিকে এর মাঝেই কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুকুল সাংমা। তখনই দলবদলের জল্পনা দানা বাঁধছিল। এবার রাতারাতি দলের ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে চলে এলেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা।
Be the first to comment