একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর জাতীয় স্তরে মাটি শক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই সংগঠন চাঙা করতে একাধিকবার ত্রিপুরা গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়া সফর করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানকার মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান অর্থাৎ দিল্লির মসনদ দখলের লক্ষ্যে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু জাতীয় স্তরে লড়াইয়ের রণকৌশল ঠিক কী হবে? তা নির্ধারণ করতে সোমবার অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর বৈঠকে বসতে চলছে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটি।
জানা গিয়েছে, কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেই আয়োজন করা হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। দলনেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ওয়ার্কিং কমিটির ২১ সদস্যই উপস্থিত থাকবেন সেখানে। জাতীয় স্তরে সংগঠন কীভাবে শক্তিশালী করা হবে, তা ঠিক হবে সেখানেই। কীভাবে অন্য রাজ্যে নিজেদের মাটি শক্ত করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে অর্থাৎ রণকৌশল নির্ধারিত হবে এদিন।
পাশাপাশি, সদ্য জাতীয় স্তরের যে নেতারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের কী দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। সূত্রের খবর, ২৯ তারিখের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অশোক তানোয়ারকেও।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরাজ্যের ভোটপর্ব মিটতেই অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের সংগঠন তৈরিতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, গোয়াই শুধু নয় হরিয়ানাতেও ধীরে ধীরে জমি শক্ত হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। ভিন রাজ্যের তাবড় তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল শিবিরে।
কিছুদিন আগেই যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরো, অসমের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব, উত্তরপ্রদেশের রাজেশপতি এবং ললিতেশপতি, লিয়েন্ডার পেজ, নাফিসা আলির মতো ব্যক্তিত্বরা। যা অন্য রাজ্যে তৃণমূলের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু তাই নয়, বুধবার মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। যার ফলে ওই রাজ্যে বিরোধী দলের আসনে উঠে এসেছে তৃণমূল।
Be the first to comment