ত্রিপুরা পুরভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল মাত্র একটি আসন পেয়েছে তৃণমূল। কার্যত গেরুয়া ঝড়ে ফিকে ঘাসফুল থেকে সিপিএম। যদিও ফলপ্রকাশের অব্যবহিত পরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক টুইটারে হুঁশিয়ারি, ‘সবে তো শুরু, এবার আসল খেলা হবে’।
নিজের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে অভিষেক লেখেন, “সামান্য উপস্থিতি থেকে কোনও দলের পক্ষে পুর ভোটে সফল ভাবে লড়া এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসা সত্যিই বিরাট ব্যাপার”। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি আরও যোগ করেন, “মাত্র তিন মাস আগে কর্মকাণ্ড শুরু করলেও ত্রিপুরা বিজেপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে কোনও সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি।” তিনি ত্রিপুরার সমস্ত তৃণমূল কর্মীর সাহসের তারিফ করেছেন। তার পর টুইটের শেষে বাংলায় লেখেন, ‘সবে তো শুরু, এবার আসল খেলা হবে’।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় আগরতলা পুরসভা, ৬ টি নগর পঞ্চায়েত, ৭ পুর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪ টি আসনে ভোট হয়। তার মধ্যে ৩২৯টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ধর্মনগরে ২৫টি আসনের সব গুলিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। তাছাড়া পানিসাগরে ১২টি আসনে জিতেছে তারা। সেখানে একটি মাত্র আসন পেয়েছে সিপিএম। আর এবার একটি আসন পেয়ে ত্রিপুরায় খাতা খুলেছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষিতে টুইটারে বার্তা অভিষেকের।
অন্যদিকে, ভোটের ফল প্রকাশের পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব তৃণমূলের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি যোগ করেন, “ছোট রাজ্য, ছোট মানুষ করে দেখা হচ্ছিল ত্রিপুরাকে। তাই সমস্ত ত্রিপুরাবাসীর এই জিৎ। আর যারা ত্রিপুরাবাসীকে লাগাতার অপমান করেছেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছে ত্রিপুরা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পুরভোটেও এই জয়ের প্রভাব পড়বে।
তাঁর কথায়, আমরা আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি মেনে রাজনীতি করি। পশ্চিমবাংলা ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক এবং নিষ্ঠার ভূমি। যে ভূমিতে বঙ্কিমচন্দ্র, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, আশুতোষ মুখার্জি, বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, কার কার নাম নেব…! আমি এটাই বলতে চাইব, সেই ভূমির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনীতি করা উচিত।
অন্যদিকে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী আবার কটাক্ষ ছুড়েছেন, কংগ্রেসের ঘর ভেঙেই তৃণমূল খাতা খুলতে পেরেছে ত্রিপুরায়।
Be the first to comment