সদ্য মুম্বইয়ের শিল্পপতিদের সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় ফিরেছেন বৃহস্পতিবারই। আর কলকাতায় ফেরার পরই মমতার সঙ্গে দেখা করতে এলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি গৌতম আদানি। এদিন নবান্নে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মাস কয়েকের মধ্যেই কলকাতায় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। সেখানেও উপস্থিত থাকতে পারেন আদানি। বাণিজ্য সম্মেলনের আগেই এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর আদানি টুইটে জানান, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা আছে তাঁর। কোথায় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের সুযোগ কেমন, সেই বিষয়ে মমতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদানি। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
সূত্রের খবর, তাজপুরে যে গভীর সমুদ্রে বন্দর তৈরি হওয়ার কথা আছে, তাতে বিনিয়োগ করতে পারেন আদানি। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য বন্দরেও বিনিয়োগ করতে পারে আদানি গ্রুপ। জানা গিয়েছে, রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ কতটা সুগম, সে তথ্য আদানির সামনে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পপতিকে তিনি জানিয়েছেন, এ রাজ্যে ধর্মঘট হয় না, শ্রমিক পাওয়া যায় সহজে। পাশাপাশি রাজ্যে পরিবেশ বান্ধব শিল্পের সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আদানি বন্দরেই লগ্নি করতে বেশি আগ্রহী।
এদিন মুম্বই থেকে ফিরে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নবান্নে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মূলত সাইক্লোন নিয়ে বৈঠকের কথা ছিল মমতার। এরপরই নবান্নে যান প্রশান্ত কিশোর। আর তার কিছুক্ষণ পরই পৌঁছন গৌতম আদানি। আদানি গ্রুপ বরাবরই মোদী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সেই গ্রুপের কর্ণধারের সঙ্গে মমতার বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment