প্রতিটি বুথের নিরাপত্তায় কড়া নজর। কলকাতা পুরসভার ভোটে সশস্ত্র বাহিনী থেকে ভোটারদের লাইনে নজরদারি – সবক’টি খুঁটিনাটি বিষয়ে কড়া রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোটের আগে নিরাপত্তা চূড়ান্ত করতে সোমবারই বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। বুথে বুথে বাহিনী বিন্যাস করা হবে, তা স্থির হতে পারে সেখানেই।
কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি বুথে ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেদিকে কড়া নজর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুরসভার পুলিশ কমিশনারকে ডেকে নিরাপত্তার বিষয়টি জানতে চান নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেইমতো রাজ্য পুলিশের তরফে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানানো হয়, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট নির্বিঘ্নে করা সম্ভব। প্রতিটি বুথের কোথায়, কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি রয়েছে কি না, তা জানতে চায় কমিশন।
সেসব স্থির করতেই সোমবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। ভারচুয়ালি সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ডিজি ও সিপির। নাকা চেকিং, কুইক রেসপন্স টিম (QRT), ভোটের লাইনে নজরদারি – এসবের জন্য কোথায়, কত পুলিশ মোতায়েন করা হবে, স্পর্শকাতর বুথেই বা ক’জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে সোমবারের বৈঠকে। কলকাতার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উল্গানাথন ওইদিন নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনার নীল নকশা কমিশনের কাছে পেশ করতে পারেন। সমস্ত তথ্য হাতে পেলে সোমবারই পুরভোটের নিরাপত্তায় বাহিনী বিন্যাস চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
অন্যদিকে, কলকাতার পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগেই আমরা রাজ্যপাল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করার দাবি জানিয়েছিলাম। এবার আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই একই আবেদন করেছি। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে যাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করার নির্দেশ দেওয়া হয় সেই উদ্দেশ্যেই আমাদের এই আবেদন।” এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে যদি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে পরে আবার বাহিনী বিন্যাসে বদল হতে পারে।
Be the first to comment