বছর ঘুরতেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই একের পর ইস্যুতে তপ্ত লখনউয়ের রাজনীতি। এরই মধ্যে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলের পথে হেঁটেই উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপিকে সাফ করতে চান তিনি। আরও জানালেন, তাঁর দল তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিকল্প জোটে যোগ দিতে পারে। পাশাপাশি কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন।
এদিন ঝাঁসিতে ‘বিজয়যাত্রায়’ অংশগ্রহণ করে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অখিলেশ। বলেন, “২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে যেমনটা হাল হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের।” এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “স্বাগত” জানান অখিলেশ। বলেন, “আমি ওঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) স্বাগত জানাচ্ছি। উনি যেভাবে বাংলা থেকে বিজেপিকে সাফ করেছেন, সেইভাবেই উত্তরপ্রদেশের আগামী নির্বাচনে শাসকদলকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেবে উত্তরপ্রদেশের জনতা।”
পুরোনো জোটসঙ্গী কংগ্রেস সম্পর্কে অখিলেশের মন্তব্য, আগামী নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেস ‘শূন্য’ হয়ে যাবে। সমাজবাদী পার্টির নেতার কথায়, “উত্তরপ্রদেশের মানুষ কংগ্রেসকে পরিত্যাগ করেছে। আগামী নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেস শূন্য হয়ে যাবে।”
বৃহস্পতিবার মোরাদাবাদের একটি জনসভায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া অভিযোগ করেছিলেন, লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুর প্রতিবাদে দেখা যায়নি অখিলেশ যাদবকে। এদিন কার্যত কংগ্রেস নেত্রীর আক্রমণের পাল্টা দেন অখিলেশ। বলেন, “২০১৭ সালে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিলাম, কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি।” বলেন, “উত্তরপ্রদেশের জনতা কংগ্রসকে পরিত্যাগ করেছে।”
উল্লেখ্য, মুম্বই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে ছাড়াই আঞ্চলিক দলগুলির বিকল্প জোট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মুম্বই সফরে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার ও শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বাণিজ্য নগরীর বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে আলাপচারিতাতেও বলেন, সমস্ত আঞ্চলিক দল একজোটি হলে সহজেই বিজেপিকে হারানো সম্ভব। এদিন কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হলেন সমাজবাদী পার্টি নেতা।
Be the first to comment