রাজ্যের পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করল কমিশন। এই হলফনামায় কমিশন জানিয়েছে, ‘মহামারীর হাত থেকে ভোটারদের রক্ষা করার জন্য ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট করাতে চাইছে রাজ্য। মে মাসের মধ্যে বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট করাতে উদ্যোগী রাজ্য।’
এরপরেই আদালত পালটা জানতে চায়, মে মাসের মধ্যে আট দফায় নির্বাচন করার কথা বলছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে এপ্রিলে ভোট শেষ করার হলফনামা জমা দিয়ে মে মাসে কেন ভোট শেষ করতে চাইছে রাজ্য? প্রশ্ন করে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে মঙ্গলবার। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পর ভোটে দেরি করা যাবে না বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই প্রসঙ্গে প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, কোনওভাবেই করোনার অজুহাতে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। ‘কীভাবে এই মামলা আদালতে চলাকালীন ভোটের তারিখ ঘোষণা হল? কেন এই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না?’ এই প্রশ্নগুলি তুলেছিল বিজেপির আইনজীবী।
পাল্টা রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, রাজ্যে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব পুরসভাগুলিতে ভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য। সবার প্রথমে কলকাতার ভোট করানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কারণ কলকাতাতে সুচিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে আগে কলকাতায় ভোট করিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করে দেখে নেওয়া হচ্ছে। এরপর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ১১৭ টা পুরসভার ভোট করাতে উদ্যোগী রাজ্য।
এরপর এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন করানো আপনাদের দ্বায়িত্ব। আপনাদের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ উঠছে তখন আপনাদেরকেই তো বলতে হবে যে নির্বাচনের বিষয়ে আপনাদের কী পরিকল্পনা রয়েছে।’ আজ ফের এই মামলার শুনানি হয়।
সোমবার বিজেপির আইনজীবী আদালতকে জানান, যে হলফনামা জমা পড়েছে তা যাচাই করতে আগামী কাল তিনি জানাতে চান তাঁর পক্ষ। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, বকেয়া পুরসভাগুলির ভোট করাতে উদ্যোগী রাজ্য। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ৩২ হাজার পুলিশ কর্মী এবং অফিসারকে ব্যবহার করা হবে এবং তাঁদের মধ্যে কলকাতা পুলিশের ২৭ হাজার কর্মী ও অফিসার এবং রাজ্য পুলিশের ৫ হাজার কর্মী থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment