রাজ্যে তৈরি হবে সাইকেল কারখানা, মন্ত্রিসভায় মিলল অনুমোদন

Spread the love

রাজ্যে সাইকেল কারখানা গড়ার উদ্যোগের কথা আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই উদ্যোগের পথে আরও একধাপ এগোল রাজ্য। শুক্রবার সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার দরপত্র গ্রহণের কাজ শুরু হবে।

রাজ্যে সাইকেল কারখানা করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারখানা গড়তে আগ্রহও দেখায় একাধিক সংস্থা। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। সাইকেল কারখানা গড়ার জন্য রাজ্য এবার বিভিন্ন সংস্থার থেকে দরপত্র চাইবে। এর জেরে রাজ্যে বহু কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেই আশাবাদী রাজ্য সরকার।

আসলে সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়াদের সাইকেল দেওয়া হয় এ রাজ্যে। শহরতলি বা গ্রামাঞ্চলে এই সাইকেলে করে যাতায়াতের চল আছে, তাই পড়ুয়াদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্প চালু হয়। কিন্তু এই সাইকেল এ রাজ্যে তৈরি হয় না। তা আনতে হয় ভিন রাজ্য থেকে। তাতে রাজ্যের কোষাগারে খরচও বাড়ে। সেই কারণেই এই প্রস্তাব।

নবম–দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রত্যেক বছর সাইকেল দেয় রাজ্য সরকার। তার জন্য প্রত্যেক বছর রাজ্যকে ১০ লক্ষ সাইকেল কিনতে হয় লুধিয়ানা থেকে। জানা যায়, প্রতিটি সাইকেলের দাম ৩ হাজারের বেশি। সুতরাং রাজ্যের বছরে কয়েকশ কোটি টাকা খরচ হয়। তাই রাজ্যে কারখানা গড়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার।

পাশাপাশি, এ দিনের বৈঠকে একাধিক নতুন পদের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। তাতে বাড়ছে চাকরির সুযোগ। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট ৪৮৬ টি নতুন পদ তৈরি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে। সেই সব পদে নতুন নিয়োগ হবে বলেই জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, প্রায় ৪৮৬ টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে বৃহস্পতিবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পঞ্চায়েত দফতরে তৈরি হচ্ছে নতুন ৪৩৭ টি পদ। নারী ও শিশু কল্যান দফতরের বিভিন্ন পদে ৩ জনকে নিয়োগ করা হবে। স্বাস্থ্য দফতরে বিভিন্ন পদে ৫ জনকে, স্বরাষ্ট্র দফতরে বিভিন্ন পদে ৪০ জনকে, অর্থ দফতরে ১ জনকে নতুন পদে নিয়োগ করা হবে।

সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনের বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুরভোটে ওয়ার্ডের বাইরের লোকের উপস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না। কলকাতার বাইরের নেতারা শুধু প্রচারে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলের অন্দরে এই বিষয়ে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, কলকাতার আশেপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁরা এসে প্রচার করতে পারেন। তবে প্রচারের কাজ যেন শুধু বক্তৃতাতেই সীমাবদ্ধ থাকে, সেই বার্তাই দিয়েছেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*