বাংলার বাইরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল। এদিকে বছর ঘুরলেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। আর উপকূলীয় এই রাজ্যে জয়ী হতে প্রচারে সামান্য খামতি রাখতে নারাজ তৃণমূল। সোমবার গোয়ায় প্রথম জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র ডেকের ও’ব্রায়েনের মতো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা।
এদিন বক্তব্য রাখতে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি গোয়ারই একজন।’ এদিনের মঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ BJP বেটি বাঁচাও মুখে বলে, কাজে করে না।’নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘BJP-র বিকল্প একমাত্র তৃণমূল। আমরা লড়াই করব, কোনওভাবে নত হব না।’ এদিন মহিলাদের ক্ষমতায়ানের কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে। সকলের কাছে কাজ রয়েছে। বাংলা দেশের মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে ১ নম্বর রাজ্য। বাংলায় বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবাও সাধারণ মানুষ পান।’
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কথায় কথায় ভয় দেখানোর জন্য CBI, ED, ইনকাম ট্যাক্স পাঠিয়ে দেয়।’কেন্দ্রের পাশাপাশি এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজভবনে একজন রাজা বসেন।’
গোয়ায় তৃণমূল জয়ী হলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিনের সভা থেকে এই প্রশ্নের জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি, অভিষেক, মহুয়া, ডেরেক এখানে মুখ্যমন্ত্রী হতে আসব না।’ গোয়ার বাসিন্দাকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে জানান তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ার ভাষায় বলেন, ‘খেলা হবে’। গোয়ার প্রশংসা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘গোয়া খুব সুইট অ্যান্ড কিউট জায়গা। গোয়ার সবাই ভালো থাকুক।
লুইজিনহো ফেলেইরো পর গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা NCP-র বিধায়ক আলেমাও চার্চিল যোগ দিলেন তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর উপস্থিতি তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Be the first to comment