সাগরপাড়ে আবারও চমক জোড়াফুল শিবিরের। আবারও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে জোড়াফুল শিবিরে সামিল গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং চার্চিল ব্রার্দাস ফুটবল ক্লাবের আলেমাও চার্চিল। শরদ পাওয়ারের NCP-এর হাত ছেড়ে তৃণমূলের ঘরে বিধায়ক আলেমাও। যদিও তাঁর তৃণমূল যোগ নতুন নয়। বরং বলতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে আলেমাওর প্রত্যাবর্তন।
এর আগে চার্চিল আলেমাও মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকী ২০১৪ সালে দক্ষিণ গোয়া আসন থেকে তৃণমূলের প্রতীকে লড়েছিলেন তিনি। তবে পরাজয়ের পর তৃণমূলের মায়া ত্যাগ করে শরদ পওয়ারের NCP-তে যোগ দেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
ফেব্রুয়ারিতে গোয়া বিধানসভার নির্বাচনই এখন পাখির চোখ তৃণমূলের। ঘর গুছিয়ে সাগর সৈকতে জয়ের ছক সাজাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। গোয়ানিজ রাজনীতির মন জয়ে একের পর এক হেভিওয়েটদের তৃণমূলে যোগদানের চমক কেড়েছে লাইমলাইট। লুইজিনহো ফেলেইরো-এর মতো গোয়ার মুখ্যমন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতাও রয়েছে চার্চিল আলেমাও-এর। সাগরসৈকতের রাজনীতির হাওয়ায় ভালোই প্রভাব রয়েছে তাঁর। তাই এমতাবস্থায় বহু দল বদলের পর চার্চিলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে প্রত্যাবর্তন জোড়াফুলের জন্য প্লাস পয়েন্টের কাজ করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গোয়ার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আলেমাও চার্চিল-এর। ১৯৯০ সালে ১৮ দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আলেমাও। গোয়ায় তিনি নিজের দুটি দলও খুলেছিলেন। রাজনৈতিক জীবন শুরুর দিকে প্রথম দলটি খোলেন তিনি। নাম দেন ইউনাইটেড গোয়ানস ডেমোক্রেটিক পার্টিতে। কিন্তু, সেই পার্টির হাত ধরে গোয়ার রাজনীতিতে তেমন দাগ কাটতে না পেরে হাত শিবিরের হাত ধরেন আলেমাও। পরে কংগ্রেসেও মোহভঙ্গ হলে আবারও দল ত্যাগ করে শুরু করেন সেভ গোয়া পার্টি। পরে শরদ পাওয়ারের NCP-এর হয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে গোয়ার মন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেন তিনি।
Be the first to comment