২ দিনের ঠাসা কর্মসূচিতে গোয়ায় তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপি শাসিত পশ্চিমের সৈকতরাজ্য থেকে তিনি যে গেরুয়া শিবিরের কড়া বিরোধিতায় সরব হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। হলোও তাই। মঙ্গলবার পানাজির জনসভা থেকে বিজেপি বিরোধী সুর আরও চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনলেন একাধিক জাতীয় ইস্যু। লখিমপুর খেরি কৃষকমৃত্যু, বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ করিডর উদ্বোধনে গিয়ে মোদির গঙ্গাস্নানের মতো বিষয়কে হাতিয়ার করলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ”ভোটে এলেই গঙ্গায় ডুব দেন। আর ভোট শেষ হয়ে গেলে গঙ্গা অপবিত্র করেন। শেষকৃত্য করতে দেন না, কোভিডে মৃতদের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দূষিত করে দেন।”
সোমবার কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডরে ৪০টি মন্দিরের সংস্কার ও ২৩টি নতুন ভবন তৈরি হয়েছে কাশীতে। এর জন্য ২ দিনের বারাণসী সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সোমবার তাঁর আগমন উপলক্ষে সেজে উঠেছিল মন্দির, ঘাট। মোদি নিজেই ললিতা ঘাটে স্নান করে পবিত্র জল সংগ্রহ করেন। লাল বস্ত্র পরে গঙ্গাস্নান করে জপ ও সূর্যপ্রণাম করেন। তা নিয়েই এদিন কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রী।
বিজেপিকে বিঁধতে গিয়ে লখিমপুর খেরিতে কৃষকমৃত্যুর প্রসঙ্গও টানলেন মমতা। তাঁর কথায়, ”এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, অথচ তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী – কেউ কোনও বিবৃতি দেননি। উচিত ছিল না কি একটা বিবৃতি দেওয়া? যা হয়েছে, তাতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।”
Be the first to comment