লখিমপুর খেরিকাণ্ডে সিটের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা চেয়ে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ কিন্তু, অধিবেশনে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷ যার পরেই অধিবেশন কক্ষে হট্টোগোল শুরু হয়ে যায় ৷ এদিন দফায় দফায় লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয় ৷ যা নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, লখিমপুর খেরি নিয়ে সরকার আলোচনা চায় না বলেই অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছে ৷
অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে রাহুল বলেন, সংসদে আমরাদের লখিমপুর খেরি নিয়ে কথা বলতে দেওয়া হয়নি ৷ তারা এটা নিয়ে আলোচনা করতে চায় না ৷ সেই কারণেই অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছে ৷ এরপর গাড়িতে উঠে সংসদ চত্বর ছাড়েন রাহুল ৷
প্রসঙ্গত, লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় গতকাল আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের গঠিত সিট ৷ যেখানে ওই ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন সিটের তদন্তকারী আধিকারিক বিদ্যারাম দিবাকর ৷ এমনকি ওই রিপোর্টে, অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা সরিয়ে, খুনের চেষ্টা, ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করার অনুমতি চেয়েছেন তিনি ৷
আর সেই নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়ে এদিন লোকসভার অধিবেশনের রোজকার কাজ মুলতুবি রাখার প্রস্তাব দেন রাহুল গান্ধী ৷ যেখানে রাহুল উল্লেখ করেন, ‘‘জুরুরি ভিত্তিতে একটি বিষয়ের উপর আলোচনা চেয়ে আমি সংসদের রোজকার কাজ মুলতুবি রাখার আবেদন জানাচ্ছি ৷ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সিটের তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কৃষকদের গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পিত চক্রান্ত ছিল এবং সেটি অসাবধানতার কারণে হয়নি ৷’’
মুলতুবি প্রস্তাবে রাহুল আরও উল্লেখ করেছেন যে, সিট এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধার্য হওয়া ধারা পরিবর্তনের আর্জি জানিয়েছে ৷ সরকারে উচিত এই মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয়কুমার মিশ্রকে বহিষ্কার করা এবং নিহতদের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পান, তা সুনিশ্চিত করা ৷ কিন্তু, সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷
Be the first to comment