বাস্তবে ঠিক যতটা লড়াকু মানসিকতার ছিলেন, মৃত্যুর সঙ্গেও ঠিক ততটাই লড়াই চালিয়ে গেলেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং ৷ বুধবার সেই শেষ লড়াইয়ে হার স্বীকার করতে হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্নেলের ছেলেকে ৷ যদিও গত এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসকের সব প্রচেষ্টার সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য যে লড়াই চালিয়ে গেলেন বরুণ সিং, তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলেই ৷
গত বুধবার তামিলনাড়ুর নীলগিরি পাহাড়ে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার এমআই-১৭ভি চপার ৷ যে চপারে ছিলেন সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত ৷ তিনি ওই চপার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৷ তাঁর স্ত্রীও মারা গিয়েছেন ৷ চপারে আর যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র বরুণকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছিল ৷
বায়ুসেনার এক আধিকারিক জানান, গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং ৯০-৯৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল ৷ শুরু থেকেই তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল ৷ বুধবার তিনি প্রয়াত হলেন ৷ এই প্রথম নয়, এর আগেও আকাশে বিপদে পড়েছিলেন বরুণ ৷ সেই সময় তিনি ছিলেন তেজসে ৷ ওই এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে তিনি সুরক্ষিত ভাবে ফিরে আসেন ৷ তখন তিনি ছিলেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ৷ এর জন্য তাঁকে শৌর্যচক্রও দেওয়া হয় ৷
হরিয়ানার চান্দিমন্দিরের আর্মি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছিলেন বরুণ ৷ তিনি প্রাক্তনী হিসেবে স্কুলের প্রিন্সিপ্যালকে একটি চিঠি লেখেন ৷ মৃত্যুর সেই চিঠিই এখন ভাইরাল ৷ যেখানে তিনি লিখেছিলেন-একজন পাইলট দায়িত্ব পালনের জন্য সীমাকে অতিক্রম করে এবং হিসেব কষে ঝুঁকি নিয়ে এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে ফিরে আসে ৷
Be the first to comment