২১ ডিসেম্বরের পর বিজেপির রাজ্য কমিটি ঘোষণা হতে পারে। নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়োগের পর রাজ্য কমিটি গঠন হয়। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হয়েছেন বেশ কয়েক মাস হতে চলল। এখনও নতুন কমিটি তৈরি হয়নি। দলের অন্দরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপিতে এখন একাধিক ‘দল’। সবপক্ষকে সন্তুষ্ট রাখতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই পুরভোট মিটতেই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার তোড়জোড় শুরু হবে।
সূত্রের খবর, সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কিছু রদবদল হচ্ছে। উঠে আসছে একাধিক নতুন নাম। সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের অধীনে ৩ জনকে সহকারী সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে। এরা সবাই আরএসএস থেকে আসতে পারেন।
সূত্রের খবর, সহকারী সম্পাদক হিসাবে উত্তরবঙ্গ থেকে নাম উঠে আসছে তরুণ নেতা সঞ্জয় মণ্ডলের। দক্ষিণবঙ্গ থেকে সহকারি সম্পাদক হতে পারেন তাপস বারিক। মধ্য কলকাতার কোনও এক নেতাকে এই পদে বসানো হতে পারে। বদল হবে সহ সভাপতি ও সম্পাদকও। ১২ জন সহ সভাপতি হবেন। ১০ জন সম্পাদক। আগামী ৩ বছরের জন্য কার কার ভাগ্যে শিঁকে ছিড়বে, বিজেপির রাজ্য দফতর এবং আরএসএস ভবনে এখন তারই ব্যস্ততা।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিজেপির সভাপতি হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এরপর তিন মাস পার হতে চলল এখনও রাজ্য কমিটিতে কারা থাকছেন তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। এ ভাবেই কলকাতার পুরভোট কেটে যাচ্ছে। তবে বাকি পুরসভাগুলির ভোটের আগে রাজ্য কমিটি না থাকলে সংঘবদ্ধভাবে এগোনো যে যথেষ্ট কঠিন হবে তা মানছেন বিজেপির একাংশ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলা বিজেপিতে এই মুহূর্তে মুখ বলতে মূলত দু’জন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখনও অবধি তাঁদের বিরুদ্ধে দলের অন্দরে বিশেষ ক্ষোভ নেই। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দু’ এক জায়গায় বিরোধিতা থাকলেও, সুকান্ত মজুমদার এখনও সকলের কাছেই সমান গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন।
দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগ রয়েছে সংগঠনের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। বাকি যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের নেতৃত্বে সংগঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যে খুব একটা সহজ তা মানতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল। এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুরভোট হলে মাত্র দু’জনের পক্ষে সবটা নজরদারি কিছুটা কঠিন। সে কারণে রাজ্য কমিটির প্রয়োজনীয়তা এই মুহূর্তে অনেক বেশি।
গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, কলকাতা পুরভোটের পর্ব মিটলেই ঘোষণা করা হবে বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির। ভোটের আগে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন। ভোট মিটতেই দেখা গিয়েছে অনেকের ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে। এর মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের মতো নেতারাও রয়েছেন। ফলে সবদিক রেখে নতুন কমিটি হবে বিজেপির। নিঃসন্দেহে এবারের কমিটি বিজেপির জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ।
Be the first to comment