করোনার নয়া স্ট্রেন ‘ওমিক্রনে’র আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বাংলায় বিপরীত চিত্র। এ রাজ্যে নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার অনেকটাই কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮০ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। তিলোত্তমায় ১৭২ জনের শরীরে হানা দিয়েছে করোনা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯৮ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমণ কমেছে অনেকটাই। দক্ষিণবঙ্গের এই জেলায় এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ জন। তার ফলে রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৯৫৫ জন। আক্রান্তের মতোই মৃতের সংখ্যাও কমেছে। শুক্রবার করোনা প্রাণ কেড়েছে ৭ জনের। তার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬৫২ জন। বাংলায় বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস ৭ হাজার ৫১৩ জন।
সংক্রমণ কমাতে তড়িঘড়ি করোনা আক্রান্তকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩০৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট ১.৪৪ শতাংশ। করোনাকে রুখতে টিকাকরণের কোনও বিকল্প নেই। টিকাকরণের উপর তাই গোটা দেশজুড়েই বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মোট ৪ হাজার ১৪১টি টিকাকরণ কেন্দ্রে শুক্রবার ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪০৪ জন টিকা নিয়েছেন। তার মধ্যে ২৭ হাজার ৫৯৩ জন প্রথম এবং বাকি ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯১১ জনের দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত ভারতের ১১টি রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে নয়া স্ট্রেন ‘ওমিক্রনে’র হদিশ মিলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১। বিদেশে না গিয়েও ‘ওমিক্রন’ স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন, সে প্রমাণও মিলেছে। আক্রান্তরা প্রত্যেকেই মৃদু উপসর্গযুক্ত। দিনকয়েক আগে বাংলারও এক শিশুর শরীরেও মিলেছিল ‘ওমিক্রন’ স্ট্রেন। যদিও তার নেগেটিভ রিপোর্টও মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার নিম্নমুখী করোনা গ্রাফ যেন অক্সিজেন জোগাচ্ছে সকলকেই।
Be the first to comment