নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই শেষ হল রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন ৷ ২৯ নভেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছিল ৷ ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চলার কথা ছিল ৷ কিন্তু বুধবার রাজ্যসভার অধ্যক্ষ বেঙ্কাইয়া নাইডু এবং লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, দু’জনেই বিরোধীদের চলতে থাকা বিক্ষোভের জেরে শীতকালীন অধিবেশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশনের শুরুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু ৷ তিনি জানান, বিরোধীদের বার বার প্রতিবাদ, বিক্ষোভের ফলে উচ্চকক্ষে যতটা কাজ করার কথা ছিল, তার চেয়ে খুব কম সময় সক্রিয় থেকেছে ৷ বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, আমি আপনাদের সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি, ভাল করে ভেবে দেখুন এই অধিবেশন আরও ভাল আর অন্যরকম করা যেত কি না ৷ আমি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না ৷ তাহলে খুব কঠিন সমালোচনা করতে বাধ্য হব ৷”
তিনি রাজ্যসভার নিয়মকানুন এবং প্রক্রিয়া ঠিকঠাক অনুসরণ করার উপর জোর দেন ৷ হাউজের সদস্যদের অতীতের উদাহরণ, শালীনতা আর ভদ্রতা মেনে চলার পরামর্শ দেন ৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে ১২ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হয় ৷ তারপর থেকে তাঁদের বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদের দুই কক্ষে বিরোধীরা লাগাতার প্রতিবাদ চালিয়ে যায় ৷ এই আগুনে ঘি দেয় লখিমপুর খেরির রিপোর্ট ৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফার দাবি, সাংসদদের ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে বারে বারে স্থগিত হয়ে যায় সংসদের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের বিল পাশের সিদ্ধান্তে রাজ্যসভার বিরোধী দলের সাংসদেরা বাধা দেন ৷ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের কথাকাটাকাটি হতে থাকে ৷ অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ নাকি রাজ্যসভার রুল বুকটি ছুড়ে দেন চেয়ারের দিকে ৷ এর জন্য তাঁকেও চলতি অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য বহিষ্কার করা হয় ৷
Be the first to comment