ফিরহাদ হাকিমেই ফের আস্থা রাখলো তৃণমূল। তাঁকেই কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হল। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র নিবাসে দলীয় আলোচনায় তাঁর নামই উঠে আসে। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়র হিসেবে ফিরহাদের নাম ঘোষণা করেন। সকলের সমর্থন আছে কি না জানতে চান। সকলেই সমর্থন জানান। এরপরই আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়ে ফিরহাদ হাকিমের মেয়র পদে। ডেপুটি মেয়র পদেও আনা হল অতীন ঘোষ। ১২ জন হচ্ছেন মেয়র পারিষদ। পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকছেন মালা রায়। তবে মেয়র ও মেয়র পারিষদের নাম ঘোষণার আগেই এদিন সুব্রত বক্সী তাঁর বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সুর বেঁধে দেন।
দায়িত্বগ্রহণের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দিদি ফের একবার আমার উপর আস্থা রেখেছেন, আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি আমৃত্যু তাঁর আস্থা অটুট রাখার চেষ্টা করব। আমি তাঁকে প্রণাম করেছি। দিদি বললেন, ভালো করে কাজ কর। দলনেত্রীর এই বিশ্বাস রাখব।’ আগামী ২৮ তারিখ মেয়র পদে শপথ নেবেন ফিরহাদ।
এদিন ১২ জন মেয়র পারিষদের নামও ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নতুন চারজন এসেছেন এই দায়িত্বে।
তালিকায় রয়েছেন –
- দেবাশিস কুমার
- দেবব্রত মজুমদার
- তারক সিং
- স্বপন সমাদ্দার
- সন্দীপ রঞ্জন বক্সি
- আমিরুদ্দিন ববি
- মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়
- সন্দীপন সাহা
- অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়
- রাম পেয়ারে রাম
- জীবন সাহা
- বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়
এছাড়াও নাম চূড়ান্ত হয়েছে বরো চেয়ারম্যানদের।
- বরো ১ – তরুণ সাহা
- বরো ২- শুক্লা ভড়
- বরো ৩ – অনিন্দ্য রাউত
- বরো ৪ – সাধনা বোস
- বরো ৫ – রেহানা খাতুন
- বরো ৬- সানা আহমেদ
- বরো ৭ – সুস্মিতা ভট্টাচার্য
- বরো ৮ – চৈতালি চট্টোপাধ্যায়
- বরো ৯ – দেবলীনা
- বরো ১০ – জুঁই বিশ্বাস
- বরো ১১ – তারকেশ্বর চক্রবর্তী
- বরো ১২ – সুশান্ত ঘোষ
- বরো ১৩ – রত্না শূর
- বরো ১৪ – সংহিতা দাস
- বরো ১৫ – রণজিৎ শীল
- বরো ১৬ – সুদীপ পোল্লে
তবে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মমতা কাউন্সিলরদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা যত জিতব তত নম্র হতে হবে। অহংকার করলে চলবে না। একইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, কথা কম কাজ বেশি। যত না কাজ করি তার চেয়ে বেশি বিবৃতি দিই। এটা করলে চলবে না। এগুলো বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিআইএম-এর অভ্যাস। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিবৃতি দিয়ে কুৎসা রটায়। তা করলে চলবে না। মানুষের কাজ করতে হবে। মাটির দিকে তাকিয়ে মাটির কথা চিন্তা করাটা দরকার।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘অনেক কুৎসা, অপপ্রচারের পরও আমরা মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদের জন্য জিততে পেরেছি। নতুন করে কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। ১০ বছর ধরে যে কাজ করেছেন তা আরও ভালো করে করতে হবে।’ বিরোধীদের কুৎসা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ভারতবর্ষে কোথাও হয়নি। আমাদের বদনাম দিয়েছে আমরা নাকি হিংসা করেছি। আমরা করিনি। এটা গণতন্ত্রের উৎসব। গণতন্ত্রের উৎসবে গণ জয় হয়েছে।’
Be the first to comment