বড়দিনের আগে কলকাতায় উদ্ধার বিপুল বিস্ফোরক!

Spread the love

বড়দিনের আগে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হল কলকাতায়। অস্ত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গল পুলিশের এসটিএফ বাহিনী। বৃহস্পতিবার রাজারহাটে এসটিএফের গোপন অভিযান চলে। সেই অভিযানেই উদ্ধার হয় বিপুল বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র। নিউটাউনের সাপুরজির কাছে একটি বাস আটকে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে।

কলকাতায় উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। মাঝে আর একটা দিন। এরপরই ক্রিসমাসের ক্যারলে মাতবে কলকাতা। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ইংরাজি বর্ষশেষ ও নিউ ইয়ার উদযাপনের ধুম লাগবে হৃদকমলে। কিন্তু এরই মধ্যে এ নতুন কোনও বিপদের সঙ্কেত এল না তো কলকাতায়? এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক শহরে এল কোথা থেকে? কেনই বা আনা হয়েছে এগুলি, বেঙ্গল এসটিএফ এখন সে প্রশ্নের জবাব খুঁজছে।

বেঙ্গল এসিটএফ সূত্রে খবর, ১৩ কেজি বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট-সহ দু’জনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। শুধু অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটই নয়, ধৃতদের কাছ থেকে একটি কার্বাইন জাতীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি নাইন এমএম পিস্তলও পাওয়া গিয়েছে। প্রশ্ন এখানেই! অত্যাধুনিক এই আগ্নেয়াস্ত্র কোন কাজে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিহারের ভাগলপুর থেকে এই বিস্ফোরক নিয়ে আসছিলেন অভিযুক্তরা। এদিকে এই বিস্ফোরক বহনের খবর আগেই পৌঁছয় এসটিএফের কাছে। এরপরই নিউটাউনে সাপুরজির কাছে বাস আটকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বাসের ভিতরই দুই যাত্রী বসেছিলেন। সন্দেহ হতেই তাঁদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে।

ধৃতরা জেরার মুখে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। অর্থাৎ এই বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্রও যে বাসন্তীর পথেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। তবে পথে অন্য কোনও পরিকল্পনা ধৃতদের ছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তকারীরা জানতে চান, কোনও বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা থেকেই এই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কি না। উৎসবের মরসুমে কোনও ভয়ঙ্কর ছক ছিল কি না তাও জানতে অভিযুক্তদের দফায় দফায় জেরা চলছে। একইসঙ্গে বাসন্তীতে কোথায় কার কাছে তাঁরা যাচ্ছিলেন, তাও জানতে চেষ্টা করছে এসটিএফ।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোটের আগের দিন তারাতলা থানা এলাকায় নাকা তল্লাশির সময় অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। জিঞ্জিরা বাজারের কাছে একটি বাইক আটক করা হয়। সেই বাইকের দুই সওয়ারিকে প্রথমে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। তাঁদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাশাপাশি যে দু’জনকে আটক করা হয়েছিল তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বজবজ থেকে আসার পথে তারাতলা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*