হাওড়া-বালি বিলে জটিলতা অবশেষে কাটল। ‘হাওড়া কর্পোরেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২১’ বিলে সই করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফলে হাওড়া, বালির পুরভোটে আর কোনও প্রতিবন্ধকতা রইল না। রাজ্যপালের সই নিয়ে এতদিন বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। অবশেষে সে জট কাটল।
রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোট বাকি রয়েছে। যা নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার তারই শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২২ জানুয়ারি ভোট করতে চায় হাওড়া, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোলে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট দমদম, ব্যারাকপুর, সিউড়ি, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ, কান্দি, জলপাইগুড়ি, কাঁথি-সহ অন্যান্য বকেয়া পুরসভার ভোট।
কিন্তু হাওড়ার ভোট নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলই। কারণ, এতদিন হাওড়া পুরসভার অধীনেই ছিল বালি পুরসভা। বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়ার মোট ওয়ার্ড ছিল ৬৬টি। গত ১২ নভেম্বর বালিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা অধিবেশনে বিল আনা হয়। ‘মাইক্রো লেভেলে নাগরিক পরিষেবা’ পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়। কিন্তু বিল পাশ করানো হলেও রাজ্যপালের সই ছাড়া তা আইন হচ্ছিল না। এদিকে রাজ্যপাল একাধিক প্রশ্ন তুলে সেই সই-পর্ব বাকি রেখেছিলেন।
এদিকে সংশোধনী বিল পাশ হলে তার পরে আইন করে বালি পুরসভা আলাদা হবে। বালিকে ধরে হাওড়ায় মোট ৬৬টি ওয়ার্ড। বালি আলাদা হলে সেখান থেকে ১৬টি ওয়ার্ড বাদ যাবে। বাকি ৫০টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়া পুরসভা হবে। কিন্তু যখন ভোটের কথা বলা হয়েছিল তখন হাওড়া ৬৬টি ওয়ার্ডের কথা বলা ছিল। এ নিয়েও একটা জটিলতা রয়েছে।
এই সই নিয়ে বৃহস্পতিবারই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রাজ্যপাল কেন করছেন না, সেটা ওনাকে জিজ্ঞাসা করুন। এটাতে কী অসুবিধা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। যা যা তথ্য, কাগজ চেয়েছিলেন, সব দিয়েছি। রাজ্যপাল বলছেন অনেক কাগজ জমা পড়েনি। এটা মিথ্যে।”
পুরভোট সংক্রান্ত যে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে চলছে, সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। প্রধান বিচারপতির এজলাসে এদিন শুনানি ছিল। সেই সময় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপাল হাওড়া ও বালি নিয়ে যে বিল তাতে সই করে দিয়েছেন। ফলে আর হাওড়ার ভোট করাতে কোনও সমস্যা থাকল না।
এদিনই আবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে শুক্রবারই বিকেল সাড়ে চারটেয় ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন টুইট করে সে কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এদিনই দেখা করবেন রাজ্যপালের সঙ্গে।
Be the first to comment