রাজ্য কমিটির পর এবার বঙ্গ বিজেপির জেলাস্তরে আমূল রদবদল, অপসারিত ৩০ জেলা সভাপতি

Spread the love

রাজ্য কমিটি রদবদলের পর এবার জেলা সভাপতি, ইনচার্জ-সহ একাধিক পদে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করল বিজেপি। এছাড়া একাধিক নতুন সাংগঠনিক জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। আগে ছিল ৩৯ টি সাংগঠনিক জেলা, এখন নতুন আরও তিনটি জেলা যোগ হওয়ায় তা বেড়ে দাঁড়াল ৪২টিতে। নতুন তিন সাংগঠনিক জেলা – বোলপুর, মালদহ দক্ষিণ এবং জয়নগর। এছাড়া পুরনো সাংগঠনিক জেলার বিন্যাসেও বদল আনা হয়েছে। বীরভূমের বোলপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্ভূক্ত হল বর্ধমানের আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম।

নজর ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচন। উনিশের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল বিজেপির কাছে মোটের উপর সন্তোষজনক ছিল। ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন দখল করেছিল বিজেপি। পরে সাংসদরা দলবদল করায় সেই সংখ্যা আরেকটু বেড়ে যায়। ২০২৪ সালের ভোটে এই সংখ্যা আরও বাড়ানোই লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের। সেই লক্ষ্যেই সংগঠনে ফের আগাগোড়া রদবদল করল শীর্ষ নেতৃত্ব। কলকাতা থেকে জেলা – সর্বস্তরে দলকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।

সদ্য কলকাতা পুরভোটে বিজেপির লজ্জাজনক ফলাফল হয়েছে। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৩ টির দখল নিয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। এই ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। মোট ৩০ টি জেলার সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। নতুন জেলা সভাপতি ও জেলা ইনচার্জদের নামও জানিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সাংগঠনিকভাবে বীরভূমকে দু’টি জেলায় ভাগ করল বিজেপি। দু’জন আলাদা সভাপতি নিযুক্ত করা হলো। 

মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর রাজ্যের পুরসভাগুলির ভোটের কথা মাথায় রেখে এই বাছাই। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার পর এবার জোনের আহ্বায়ক পদও খোয়ালেন সায়ন্তন বসু। ফলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও জল্পনা বাড়ল। ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূলের এক বিধায়ক। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*