রাজ্যে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ওমিক্রনের থাবা। এবার করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসক। শুক্রবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
জানা গিয়েছে, ২৩ জন করোনাআক্রান্তের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম পরীক্ষার জন্য কল্যানীতে পাঠানো হয়। ‘ইনফর্মাল’ রিপোর্টে তাদের মধ্যে দুই জনের ওমিক্রন ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।এদিকে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি হওয়া ওই চিকিৎসক কীভাবে আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে যাঁদের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই বিদেশ ফেরত। এই চিকিৎসকে বিদেশ ভ্রমণের কোনও রেকর্ড নেই। সেক্ষেত্রে তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এদিকে, দেশের সার্বিক ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি পদস্থ আধিকারিক এবং আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই যে ১০ রাজ্যে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে সেখানে বিশেষ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও।
বাংলাতে ওমিক্রন বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রের এই তদন্তকারী দল। ৩ থেকে ৫ দিন রাজ্যে থাকবেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও কেরল,কর্নাটক, তামিলনাডু,মহারাষ্ট্র,পঞ্জাব,উত্তরপ্রদেশ,বিহার,ঝাড়খণ্ড ও মিজোরামে যাবে কেন্দ্রের বিশেষ পর্যবেক্ষক দল। উল্লেখ্য, এর আগে আবু ধাবি থেকে কলকাতায় আসা এক শিশুর দেহে ধরা পড়েছিল ওমিক্রন। তিনিই বাংলার প্রথম করোনা আক্রান্ত। তবে ওই শিশুর সংস্পর্শে আসা কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত হননি। তার ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসার এক দিনের মধ্যে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিকে দেশের করোনা গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এখনও পর্যন্ত দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৮৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৮৭ জনের। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩ কোটি ৪২ লাখ ২৩ হাজার ২৬৩ জন। করোনা প্রাণ কেড়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ জনের।
Be the first to comment