মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান কপিলমুনি আশ্রমের মোহন্ত

Spread the love

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান কপিলমুনি আশ্রমের মোহন্ত জ্ঞানদাস ৷ মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ পুজো দেন কপিলমুনি আশ্রমে ৷ তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন ৷ সেখানেই মোহন্ত জ্ঞানদাস বলেন,”সততা কখনও হারে না ৷ সততার জয় সবসময় ৷ মমতা প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অনেক মঙ্গল হবে ৷”

এদিন বিকেলে কপিলমুনির আশ্রম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। এই মেলার পবিত্রতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নালিশের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। মমতা বক্তব্য, ”এই মেলা কুম্ভ মেলার চেয়ে কোনও কম পবিত্র নয়। কথায় বলে – সব তীর্থ বারবার/ গঙ্গাসাগর একবার। আমরা বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছি, এই  মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। একে দ্রুতই জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করি।” মেলায় যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজ দরকার। তা এখনও তৈরি না হওয়ায় মানুষজনের সমস্যা নিয়েও এদিন কেন্দ্রকে একহাত নিলেন তিনি।  বললেন, ”এই ব্রিজ করে দেওয়ার জন্যও বারবার কেন্দ্রকে বলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আমরা সাড়া পাইনি। আমাদের কাজ আমরাই করব। আমাদের টাকাপয়সা হলে ব্রিজটা বানিয়ে দেব।”

কপিলমুনির আশ্রম থেকে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান ভারত সেবাশ্রম সংঘে। সেখানে পুজো দিয়ে, সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথাবার্তা বলেন। এখান থেকেই গঙ্গাসাগর এলাকার উপর প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে আমফান, বুলবুল, যশের মতো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই এলাকার প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষত সারিয়ে ফের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলার আগে প্রস্তুতি বৈঠক করে পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এবছরও বৈঠক করে তিনি জানান, মেলায় আগত পর্যটকদের জন্য অতিরিক্ত বাস, ট্রেন চলবে। হাওড়া এবং শিয়ালদহ-নামখানায় অতিরিক্ত ট্রেন চলবে । থাকবে ৭০টি বাড়তি ট্রেন। তবে শুধু ট্রেন নয়, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২২৫০টি বাস চলাচল করবে মেলার সময়।

এছাড়াও করোনা পরীক্ষার জন্য মেলায় ১৩টি মেডিক্যাল স্ক্রিনিং ক্যাম্প থাকবে। ময়দানে বাসে ওঠার আগে তীর্থযাত্রীদের আরটিপিসিআর টেস্ট করানো হবে। মেলা এলাকায় থাকছে ৬০০ শয্যার একটি কোভিড হাসপাতাল। থাকছে ৫টি আইসোলেশন সেন্টার। সকলকে মাস্ক পরতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই মাস্ক বিলি করবে সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মানতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধিও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*