ওমিক্রন ঢুকে পড়েছে রাজ্যে। একথা জানা সত্ত্বেও পার্ক স্ট্রিট কিংবা নৈশ নিলয়ে বড়দিনের গাদাগাদি ভিড় দেখে অনেকেরই চক্ষুজোড়া কপালে ওঠার উপক্রম হয়েছে। এদিকে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। কলকাতায় আনন্দ-উৎসবে বাধা নেই বটে কিন্তু প্রশাসন বারবার বলেছে কোভিডবিধি মেনে খুশির জোয়ারে গা ভাসাতে।
কিছু মানুষ অবশ্যই বিধি মেনে চলছেন। তবে বেশিরভাগই সুরক্ষাবার্তায় কর্ণপাত করছেন না। এমন দৃশ্য চিকিৎসক মহলেরও চিন্তা বাড়াচ্ছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যদিও এখনও যথেষ্টই নিয়ন্ত্রণে। এমনকী ওমিক্রনও সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু প্রশাসনের অন্দরমহলের খবর, সাবধানের মার নেই। তাই সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে কলকাতাতেও দ্রুত পরিস্থিতি পালটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে অবশ্য বিধি-নিষেধ আগের মতোই বহাল রয়েছে। শুধুমাত্র বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের উৎসবের জন্য রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ছাড় রয়েছে। এই সাতদিন বাদে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাতের বিধিনিষেধ কড়াভাবে মেনে চলতে হবে। এই ছাড়ের সময়ও মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
কলকাতায় বর্ষবরণে মেট্রোয় অত্যন্ত বেশি ভিড় হয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, মাস্ক ছাড়া কোনওভাবেই মেট্রো সফর করা যাবে না। পুলিশও রাস্তায় উৎসব পালনে ব্যস্ত মানুষকে সচেতন করার কাজ চালাচ্ছে। বিধি না মানলে ধরপাকড়ও করা হবে। বিশেষ করে মাস্ক না পরলে রেয়াত করা হবে না। স্বাস্থ্য দপ্তরও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, উৎসব পালনের সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তার প্রভাব পড়বেই। তাই মানুষ সতর্ক হোক।
এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই একগুচ্ছ নিয়ম বিধি চালু করে দিয়েছে দিল্লি। নয়া বিধিনিষেধে সেখানে দপ্তর চলবে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে। বন্ধ স্কুল-কলেজ। খোলা থাকবে না জিম, সিনেমা হলও। শপিং মল বা অন্যান্য দোকান জোড়-বিজোড় নিয়ম মেনে খুলবে সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। রেস্তরাঁ রাত দশটার পর বন্ধ। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশবিধি কড়াভাবে মেনে চলতে হবে। ১০ দিনের রাত্রিকালীন বিধি নিষেধ জারি হয়েছে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রে। বদ্ধ জায়গায় বর্ষবরণ নিষিদ্ধ।
Be the first to comment