ভোট এলেই দলবদলের হিড়িক দেখে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে বঙ্গবাসী। তবে আসানসোলে যা ঘটল তা একটু অন্যরকম। দুয়ারে আসানসোল পুরভোট। তাই ঝট করে কবিতা যাদব সিদ্ধান্ত নিলেন আর নয়। এবারক কাস্তে-হাতুড়ি ছাড়তে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। মঙ্গলে ঊষা, বুধে পা দেওয়ার জন্য আর অপেক্ষা নয়। এক্কেবারে মন্ত্রী মলয় ঘটকের কলকাতার বাড়িতে হাজির হলেন আসানসোল পুরনিগমের তিনবারের সিপিআই কাউন্সিলর। ভোট ঘোষণা হতেই নিলেন ঘাসফুলে ঠাঁই।
আসানসোল পুরনিগমের ভোট ঘোষণা হয়েছে সোমবার। আর পরের দিনই আসানসোল পুরনিগমের সিপিআইয়ের তিনবারের জয়ী কাউন্সিলর কবিতা যাদব দল ছাড়লেন। যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এদিন কলকাতায় গিয়ে রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন কবিতা।
কবিতা যাদবের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা রাজ্যের মানুষদের জন্য উন্নয়ন করছেন। একই সঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত দিয়ে গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যে উন্নয়ন দেখেছি তা অভাবনীয়! সেই কারণেই মানুষের পাশে থাকার জন্য আমি সিপিআই ছেড়ে তৃণমূলে এলাম। ‘মলয়দার’ হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করে আপ্লুত কবিতা। আর এ নিয়ে মলয় ঘটক বলছেন, তিন তিনবার কবিতা যাদব জিতে প্রমাণ করেছেন তিনি মানুষের পাশে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হতেই তিনি এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন।
প্রসঙ্গত, মাত্র তিন দিন আগেই সিপিআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা আসানসোল পুরনিগমের দু’বারের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মানিক মালাকার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, আগামী দিনে রাজ্যে বিরোধী শক্তি বলে কিছু থাকবে না। ওই দুই হেভিওয়েট নেতার পাশাপাশি জামুরিয়া ও বার্নপুর থেকেও বিপুল সংখ্যক বাম ও কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলের ঝান্ডা তুলে নেন। দল পালটে ফেলেছেন মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক ইন্দ্রাণী মিশ্রও।
ওই যোগদান মেলা কর্মসূচিতে উপস্থিত পুরপ্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান অনিমেষ দাসরা। যোগদানের প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্য সম্পাদক প্রসেনজিত পুইতণ্ডির দাবি, ইন্দ্রাণীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগ ছিল না। দলের কোনও ক্ষতি হবে না।
আর কবিতা যাদবের দলবদলে সিপিআইয়ের রাজ্য নেতা প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র সিংয়ের প্রতিক্রিয়া, “এতে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না। এঁরা অনেকদিন ধরেই দলের হয়ে কোনও কাজ করছিলেন না”।
Be the first to comment