করোনার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার একলাফে সেই সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে রাজ্যে। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১। পাশাপাশি, সার্বিক সংক্রমণের যে রেখচিত্র উঠে আসছে, তাতে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের যে সব রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেই তালিকায় প্রথম দশে চলে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ। দশম স্থানে রয়েছে বাংলা। মঙ্গলবার পর্যন্ত যেখানে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬, আজ, বুধবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১। সেই সঙ্গে দৈনিক সংক্রমণও রাজ্যে বেড়েছে অনেকটাই। মঙ্গলবার নতুন করে এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭৫২ জন। আজ সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে দিল্লি, এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছে ২৩৮ জন। তারপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ১৬৭। গুজরাটেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৩, কেরলে ৬৫, তেলেঙ্গানায় ৬২, রাজস্থানে ৪৬, কর্ণাটকে ৩৪, তামিলনাড়ুতে ৩৪, হরিয়ানায় ১২।
এই পরিস্থিতিতে করোনাবিধি নিয়ে নতুন করে ভাবছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতি যে ভাবে ফের অবনতির দিকে যাচ্ছে, তাতে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ গঙ্গা সাগরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তাই একগুচ্ছ নয়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, ফের নতুন করে কিছু বিধি- নিষেধ জারি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনে পুনরায় স্কুল বন্ধ করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে কোন বিধি কার্যকর করা যায়, সে দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বঙ্গে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল বিমানবন্দরের মাধ্যমেই। মুর্শিদাবাদের ওই শিশু তার মা-বাবার সঙ্গে আবু ধাবি থেকে হায়দ্রাবাদ হয়ে বঙ্গে এসে পৌঁছয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর আবু ধাবি থেকে এসে হায়দরাবাদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে ওই শিশু ও তার বাবা-মা। হায়দ্রাবাদে দু দিন থাকার পর ১৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরে সেই পরিবার। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে ওইদিনই মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফেরেন তাঁরা। পরে জানা যায় সে ওমিক্রনে আক্রান্ত। এরপরই একে একে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাজ্যে।
Be the first to comment