করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হতেই একগুচ্ছ কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে বাংলায়। সোমবার থেকেই জারি হবে নয়া বিধিনিষেধ। তবে তাতে ছাড় দেওয়া হয়েছে মেট্রো পরিষেবাকে। মেট্রো পরিষেবা এতদিন যেমনভাবে পাওয়া যাচ্ছিল, সোমবার থেকে তাতে কোনও বদল আসছে না। তবে সংক্রমণ যে লাগামছাড়াভাবে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে সতর্ক মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও। যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সোমবার থেকে ফের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকাতা মেট্রোর টোকেন পরিষেবা। যাত্রীরা কেবলমাত্র স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করেই মেট্রোয় উঠতে পারবেন। রবিবার এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো রেল আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রতিদিন কলকাতা মেট্রোর টোকেন ব্যবহার করে প্রায় এক লাখ যাত্রী যাতায়াত করতেন। কিন্তু সোমবার থেকে, সেই পরিষেবা ফের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা দিতেই ফের সজাগ রাজ্য প্রশাসন। সতর্ক কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও। মূলত যে টোকেনগুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাতে বহু ব্যবহারকারী সংস্পর্শ হয়। এই ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বেশি। আর সেই কারণেই টোকেনগুলির ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখছে কলকাতা মেট্রো।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল মেট্রো রেলের টোকেন পরিষেবা। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করেই যাতায়াত করতে হচ্ছিল। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে, কিছুদিন আগেই কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে ফের চালু করা হয়েছিল টোকেন পরিষেবা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ নভেম্বর কলকাতা মেট্রোয় ফের টোকেন ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। করোনাকালে বন্ধ রাখা হয় টোকেন ব্যবহার। স্মার্ট কার্ডই ছিল মেট্রোয় যাতায়াতের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা। কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য আবার শুধু মাত্র স্মার্ট কার্ড রয়েছে এমন যাত্রীই মেট্রোয় যাতায়াতের অনুমতি পাবেন।
প্রতিদিনের যাঁরা যাত্রী তাঁদের স্মার্ট কার্ডে সুবিধা হলেও, যাঁরা রোজ মেট্রোয় যাতায়াত করেন না তাঁদের জন্য যথেষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে আবার। বিশেষ করে সন্ধে সাতটার পর সোমবার থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমজনতার জন্য। সেক্ষেত্রে মেট্রোই যাত্রীদের জন্য একটি বড় ভরসা হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে টোকেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটি বড় অংশের মেট্রো যাত্রী সমস্যায় পড়তে পারেন।
নতুন নির্দেশিকায় লোকাল ট্রেন আংশিকভাবে বন্ধ করার কথা বলা হলেও, মেট্রো রেল পরিষেবায় কোনো কাটছাঁট করা হচ্ছে না। এতদিন পর্যন্ত যেমন মেট্রো পরিষেবা চালু ছিল, তেমনটাই চালু থাকবে আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে।
Be the first to comment