ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই বেড়েছে কোভিডের দাপট। যার আঁচ পৌঁছেছে লালবাজারের অন্দরেও। প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করা পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকেরাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৫ জন পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একাধিক পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক এই মুহূর্তে আইসোলেশনে রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা মাত্রই তাঁরা নিজেদের ফ্রন্টলাইন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত IPS কিংবা কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। এদিনও নতুন করে বেশ কিছু পুলিশ আধিকারিকের দেহে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। কিছুদিন আগেই কলকাতার অতিরিক্ত কমিশনার দেবাশিস বড়ালের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এদিকে কলকাতার DC দক্ষিণ আকাশ মাঘরিয়ার দেহেও সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। কলকাতা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় অফিসারদের পরপর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ফিরে আসছে মহামারীর প্রথম অর্ধের স্মৃতি। পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বেগ কাজ করছে লালবাজারের অন্দরে। তবে এই শঙ্কার মুহূর্তেও কিন্তু সাধারণের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে লালবাজার।
গত ৩ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার থেকেই রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ কার্যকরী হয়েছে। অপ্রয়োজনে যাতে কেউ রাস্তায় না বেরোয়, সে নিয়েও অনুরোধ করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। রাতের শুনশান কলকাতার ভিডিয়ো শেয়ার করে বাড়িতে থাকার বার্তাও দিয়েছে লালবাজার। পাশাপাশি, চলছে করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার। চলছে মাইকিং। বিভিন্ন অঞ্চলে নাকা চেকিং চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এদিকে CID -এর একাধিক আধিকারিকও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
এবারে প্রশ্ন, লালবাজার হেডকোয়ার্টারে কী কী সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে? পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত বছরগুলির মতো এবারেও সতর্কতা অবলম্বন করেছে লালবাজার। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি, বারবার স্যানিটাইজ করা হচ্ছে লালবাজার। পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের সমস্ত কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলছেন সকলে। কারও শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা গেলেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে আইসোলেশনে। হচ্ছে করোনা পরীক্ষা। সূত্রের খবর এমনটাই।
এদিকে কলকাতা তথা রাজ্যে পজিটিভিটির হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার ফ্রান্সে আরও এক নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে IHU। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ওমিক্রন এর চেয়ে ক্ষতিকর ওই ভ্যারিয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার মতো অভ্যাসকে আবারও পাথেয় করার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।
Be the first to comment