কোভিডবিধি মেনেই গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। ডায়ামন্ডহারবারে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মেলায় সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে। সাগরদ্বীপের অধিকাংশ মানুষকে টিকাপ্রদান করা হয়েছে। রাজ্য চায় বিধিনিষেধের মধ্যেই মেলা করতে। রাজ্যের অনুমান ৫-৬ লক্ষের মত লোক আসতে পারে এই মেলায়। ৯ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। ডায়ামন্ডহারবার হাসপাতালকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ই-স্নানের উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। ৫০ হাজারের মত সাধু আসতে পারে। তাঁদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে মন্দির দর্শন ও স্নানের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি যদি খুব খারাপ হয় তাহলে গোটা এলাকাকে কনটেইনমেন্ট বলে ঘোষণা করা হবে। মেডিক্যাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ২৩৫ শয্যার সেফ হোমও তৈরি করা হয়েছে। মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাত্র ৪ জন আয়োজক অভিনেতা আক্রান্ত হওয়ার জন্য। অথচ গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে চাইছে না কেন? ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে কয়েক হাজার লোক আসে মাত্র। সেখানে গঙ্গাসাগর মেলা কেন বন্ধ করা হবে না? ডাক্তার ফোরামের তরফে বলা হয়, যেভাবে ডাক্তাররা আক্রান্ত হয়েছেন। আর যে হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলা হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণে তা কতটা কার্যকরী হবে সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল বাস্তব পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে রাজ্য এই মেলা বন্ধ রাখতে চায় নাকি কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা তা জানানো নির্দেশ দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বা শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে এই মামলার রায়ের কপি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার জন্য এবছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল।
Be the first to comment