“কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনেই কাজ করেছি। কিন্তু রাজ্যপাল না জেনেই প্রশ্ন করেছেন।” চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ভার্চুয়ালি উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর সামনেই রাজ্যপালকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে কোভিড কালে কনসালটেন্ট নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই ইস্যুটিকে তুলে ধরেই প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাজ্যপালকে জবাব দিলেন তিনি।
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসক সঙ্কটের প্রসঙ্গ এদিন প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যে চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে। মেডিক্যালে কোটা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এখন কোভিডের সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ। এক হাসপাতালের ৭৫ জন চিকিৎসক কোভি়ড আক্রান্ত। আমরা কী করব? কীভাবে পরিষেবা দেব? তাই আমাদের মেডিক্যাল সিট বাড়ানো সবচেয়ে প্রয়োজন।”
এরপরই আসেন আইএএস নিয়োগ ইস্যুতে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকিৎসক সঙ্কট রাজ্যে একটি ইস্যু। আরেকটি ইস্যু হল আইএএস অফিসার সঙ্কট। রাজ্যপাল আমাকে প্রশ্ন করেন আমি কীভাবে নিয়োগ করেছি? তিনি আদৌ জানেন না, আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নিয়োগ করেছি। অফিসার যদি না পাই তো আমি কী করব?”
এরপর মুখ্যমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করে বলেন, “একটা কথা স্পষ্ট, কেন্দ্র আমাদের যা গাইডলাইন দেয়, আমরা সেটা অনুসরণ করেই কাজ করি। আমাদের চলার পথটা যতই আলাদা হোক না কেন!”
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য গত মাসেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন। রাজ্যের প্রায় ৪০টি দফতরে কনসালটেন্ট ও সিনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগের কথা। এই নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব করেন রাজ্যপাল।
টুইটে রাজ্যপাল জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে মুখ্যসচিবকে রাজভবনে যেতে হবে। স্বভাবতই রাজ্যপালের এই টুইট ঘিরে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হল রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের বহু প্রকল্প। সেগুলি আরও ভালভাবে নজরদারির জন্য বিভিন্ন দফতরে পরামর্শদাতা ও পেশাদার পরামর্শদাতা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। যদিও এই নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিজেপি। নবান্নের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই নিয়ে টুইট করেন।
কিন্তু আজ, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, আদতে তিনি কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু বলেননি। রাজ্যপালের তরফেও নতুন করে মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া।
Be the first to comment