তিনি ভোটকুশলী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ভোটের প্রচার কৌশল নিয়ে পরামর্শ দেন। করোনা পরিস্থিতিতে সেই প্রশান্ত কিশোর নয়া অবতারে। একেবারে সাধারণ নাগরিকের মতো ঘুরিয়ে পাঁচ রাজ্যের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেন তিনি। পিকে বলছেন, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার দুটি করে ডোজ না পেলে ভোট করানো উচিত নয়।
শুক্রবার এক টুইটে ভোট কুশলী বলছেন,”ভোটমুখী রাজ্যগুলির ৮০ শতাংশ জনগণের করোনার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এটাই এই মহামারীর সময়ে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সবচেয়ে সুরক্ষিত পথ। বাকি সব কিছুই অনর্থক।” পিকে মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন যে কোভিড বিধি রাজনৈতিক দলগুলির জন্য বেঁধে দিয়েছে, তা নিরর্থক, কেউ মানে না। তিনি বলছেন,”কমিশনের বেঁধে দেওয়া আদর্শ কোভিড বিধি পুরোপুরি অর্থহীন। কেউ এসব মানে না।”
প্রসঙ্গত, দেশে ওমিক্রনের প্রকোপ বৃদ্ধির পর পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি নতুন কিছু নয়। এর আগে খোদ এলাহাবাদ এবং উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ভেবে দেখতে অনুরোধ করেছে। নিদেনপক্ষে বড়বড় জনসভা যাতে রাজনৈতিক দলগুলি না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে কমিশনকে অনুরোধ করেছে আদালত।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে নির্বাচন কমিশন ভোট পিছানোর কথা ভাবছে না। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই পাঁচ রাজ্যের ভোট হতে পারে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। সব দলই সময়ে ভোটগ্রহণের পক্ষে। তবে, সময়মতো ভোটগ্রহণ হলেও বেশ কিছু প্রচার বিধি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেঁধে দেওয়া হতে পারে। যদিও পিকের মতে এভাবে প্রচার বিধি বেঁধে দেওয়া যুক্তিহীন। কেউই এগুলি মানবে না।
Be the first to comment