করোনা আক্রান্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

সৌজন্যের নজির। করোনা আক্রান্ত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিরার সন্ধেয় করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে যথেষ্ট খুশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

দিনকয়েক শরীর ভাল যাচ্ছিল না বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। জ্বর, সর্দি, কাশি-সহ করোনার একাধিক উপসর্গ ছিল তাঁর। ব়্যাপিড টেস্ট হয় তাঁর। আরটি পিসিআর টেস্টেও রিপোর্টও পজিটিভই আসে। রবিবার সন্ধে থেকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি সুকান্ত। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত জ্বর আর নেই। সর্দি, কাশি এখনও রয়েছে। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও ঠিকই রয়েছে।

সোমবার সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফোন আসে। প্রায় আড়াই মিনিটের মতো কথা হয় দু’জনের। শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রীর। কোনও সমস্যা হলে জানাতেও বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে খুশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও মুখ্যমন্ত্রী যে সকলের দিকেই খেয়াল রাখেন সে প্রমাণ আগেই মিলেছে। করোনা আক্রান্ত বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে ফলের ঝুড়ি, হেলথ ড্রিংকস পৌঁছে গিয়েছে। তা পেয়ে আপ্লুত বিজেপি নেতা। ফেসবুকে নারায়ণবাবু লেখেন, “আমাকে এবং আমার পরিবারকে এই উপহার পাঠানোর জন্য দিদি ও দাদা, দু’জনকেই অসংখ্য ধন্যবাদ।” দাদা বলতে তাঁর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিজয় উপাধ্যায়ের কথা বোঝাতে চান ওই বিজেপি নেতা। তাঁকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন নারায়ণবাবু।

রবিবার বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল ফলের সাজি এবং হেল্থ ড্রিঙ্কস। বেহালা এলাকার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজে গিয়ে সৌরভের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*