ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধে আরও কিছুটা লাগাম টানল দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা ডিডিএমএ (DDMA)। মঙ্গলবার একটি নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ডিডিএমএ। সেখানে বলা হয়েছে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত অফিস রয়েছে, সেগুলি বাদ দিয়ে আপাতত সমস্ত বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে রেস্তোরাঁ, বার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা ডিডিএমএ মঙ্গলবার যে নির্দেশিকা জারি করেছে, সেখানে বলা হয়েছে দিল্লির সমস্ত প্রাইভেট অফিস, রেস্তোরাঁ এবং বার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই ধরনের সমস্ত অফিসের কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার আদেশ দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী অফিসগুলি খোলা হবে। রেস্তোরাঁ থেকে খাবার সরবরাহ এবং টেকওয়ে সুবিধা পাওয়া যাবে। ১১ জানুয়ারি থেকেই এই নির্দেশিকা বলবৎ হবে।
হু হু করে দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ওমিক্রনও শক্তি বাড়াচ্ছে রাজধানীতে। এই অবস্থায় বেসরকারি অফিসগুলিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করার কথা বলেছে দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। মঙ্গলবার দুপুরের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। মনে করা হচ্ছে, সংক্রমণের দিকে নজর রেখে আরও বেশ কিছু বিধি নিষেধ ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে গত রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অরবিন্দ কেজরীবাল বলেছিলেন, দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে। তবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই, সতর্ক থাকতে হবে সকলকে।
সোমবার দিল্লিতে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ১৬৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। একদিনে এই সংক্রমণ নিঃসন্দেহে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কপালে। গত একদিনে পজিটিভি রেটও বেড়েছে। ২৫ শতাংশ হয়েছে পজিটিভিটি রেট। গত বছর ৪ মার্চের পর এই রেট এতটা বেশি হয়েছে। দিল্লিতে এখনও অবধি ১৫,৬৮,৮৯৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যদিও এর আগে দিল্লি সরকার জানিয়েছিল, লকডাউনের পথে তারা এখনই হাঁটতে চায় না।
Be the first to comment