আবারও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। আর এবারের ইস্যু, তলব সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির রাজভবনে অনুপস্থিতি। আর নেপথ্যে নেতাইয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে বাধা দেওয়া।
বুধবার সকালে একটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাতে তিনি লেখেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। পরপর তিন দিন তাঁরা সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ রাজভবনে আসেননি তাঁরা। কার নির্দেশে তাঁরা রাজভবন ‘বয়কট’ করেছেন, সে প্রশ্ন তুলে দুদিন আগেও একটি টুইট করেছিলেন তিনি। এদিনও করলেন। বিষয়বস্তু একই। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব ও ডিজির রাজভবনে না আসাটাকে তিনি ‘বয়কট’ বলেই উল্লেখ করেছেন। রাজ্যপালের কথায়, এটি একটি অমার্জনীয় সাংবিধানিক গাফিলতি।
এদিন টুইটে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সঙ্গে এইভাবে তিন বার তলব সত্ত্বেও মুখ্যসচিব ও ডিজির এইভাবে রাজভবন ‘বয়কট’ একটি ‘কনস্টিটিউশন্যাল ল্যাপস’ অর্থাৎ সাংবিধানিক ক্রুটি বলে উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ১০ জানুয়ারিও মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে কৈফিয়ত তলব করেন রাজ্যপাল। সঙ্গে টুইটে লেখেন, “কার নির্দেশে বয়কট?”
প্রসঙ্গত, নেতাই সফরে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে রাজভবনে তলব করেছিলেন। কিন্তু করোনা ও গঙ্গাসাগরের কারণে ‘নির্দেশ’ অনুযায়ী যাচ্ছেন না, জানিয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। এরপর রাজ্যপাল ফের প্রশ্ন তোলেন, কার নির্দেশে তাঁরা রাজভবন ‘বয়কট’ করেছেন? যদিও সে প্রশ্নেরও কোনও উত্তর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, নেতাইতে কেন যেতে দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। নেতাই, বাঁকুড়া, কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সফরসূচিতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, আদালতে এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কেন বার বার তাঁর সফরসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বাড়ির সামনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
নেতাইয়ের শহিদ দিবস পালনে যেতে চাইলেও বাধা দেয় পুলিশ। শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নেতাই ঢুকতে পারেননি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তার আগে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।
Be the first to comment