হাতে গোনা আর কয়েকদিন। তারপরই পুরভোট ভোট। তুঙ্গে জোর কদমে প্রচারে শাসক থেকে বিরোধীর প্রত্যেকে। আর এরই মধ্যে এক অন্য ছবি। শিলিগুড়ি থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা বিকাশ সরকার। তাকে টেনে-হিঁচড়ে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনাস্থল শিলিগুড়ি। সেখানে পুরো নিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব সম্পাদক বিকাশ সরকার। দলের থেকে টিকিট না পাওয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে অভিযোগ একাধিক ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ভোট প্রচারের জন্য যে সকল ফেস্টুন লাগানো হয়েছিল সেই ফেস্টুনগুলির মধ্যে বেশির ভাগই ছিঁড়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষোভ নিয়েই পুলিশের কাছে নালিশ করতে যান বিকাশ বাবু।
তাঁর অভিযোগ, ফেস্টুন নষ্ট করার পিছনে শাসক দল তৃণমূলের মদত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে শাসক দলের কর্মীরা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। আর একবার নয়। বারবার ঘটেছে এই ঘটনা। সেই কারণে থানায় গিয়ে এদিন রীতিমত অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিকাশ সরকার। ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তিনি।
এবার করোনা পরিস্থিতিতে থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসায় বিকাশ সরকারকে কার্যত টেনেহিঁচড়ে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে লকআপেও রাখা হয়েছে। এদিকে, বাকি যে সকল সহকর্মী তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিকাশ সরকারকে গ্রেফতার করার পরই তাঁরা পালিয়ে যায়। বিকাশ সরকার অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তিনি ভোটে জিতবেন। পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ককেও তিনি হারাতে চান। আসলে তাঁর দলেরই একটা অংশ চাইছে না যে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে হারাতে তিনি ময়দানে থাকুন। সেই কারণেই তার পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। সেই কারণে তৃণমূল প্রার্থীর পোস্টার ব্যানার অক্ষত আছে তাঁরটা নেই।
তবে গোটা ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাসকদল। তৃণমূল প্রার্থী প্রতুল চক্রবর্তী জানান, “এই রকম অভিযোগ কেউ করতেই পারেন। তবে অভিযোগ করলেই তো আর অভিযোগ প্রমাণ হয় না। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। অন্য কেউ করেছে আর তৃণমূলের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।”
Be the first to comment