পুরভোট নিয়ে শনিবারই সিদ্ধান্ত জানাতে পারে কমিশন, হাইকোর্টের নির্দেশের পর আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক

Spread the love

পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তৎপরতা কমিশনের। আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিশনের কর্তারা। ভোট পিছানো নিয়ে আগামিকাল, শনিবার সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। উল্লেখ্য পুরভোট পিছানো নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছনো যায় কি? তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে হাইকোর্ট। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, মামলাকারী আইনজীবীরা যাবতীয় নথি কমিশনে জমা করতে পারেন। অবশ্যই যদি কমিশন সেটি চায়। অর্থাৎ কোথায় কী কোভিড পরিস্থিতি, কোন জেলায় কী অবস্থা, তা মামলাকারীরা কমিশনের সামনে তুলে ধরতেই পারেন।

পাশাপাশি আরও একটি বিষয় আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে দেখছে কমিশন। গোটা পরিস্থিতিতে ভোট কি ৪-৬ সপ্তাহ পিছোতেই হবে নাকি তার থেকেও কম পিছোলে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। কমিশন তাঁদের অভ্যন্তরীণ বৈঠকও করছে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবারই সমস্ত বৈঠকগুলি সেরে ফেলতে চাইছে কমিশন। শনিবার বিকালের মধ্যেই কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। শেষ পর্যন্ত এই পৌরনিগমের ভোট আদৌ পিছনো হবে কিনা, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে শনিবারই।

উল্লেখ্য, আরও ১০৮ টা পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। যদি ভোট ৪-৬ সপ্তাহ পিছোতে হয়, তা ফেব্রুয়ারি মাঝ পর্যন্ত চলেই যাবে। তাহলে প্রশ্ন, এই চার পৌরনিগমের ভোট করানোর পরই কি ১০৮ টা পৌরসভার ভোট হবে? তা নিয়ে কিন্তু জটিলতা থাকছেই। সেটা সম্ভব নয়, কারণ ওত সংখ্যক ইভিএম নেই। এই যাবতীয় বিষয় নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। আপাতত প্রাথমিকভাবে এই পৌরনিগমের ভোট হবে, সেই সিদ্ধান্ত একাই নিচ্ছে কমিশন।

আদালত শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুরভোট মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ আদালতকে জানানোর আর বিশেষ কিছু প্রয়োজন নেই। গোটি বিষয়টি নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মামলা চলাকালীন যে ভাবে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন একে অপরের কোর্টে বল ঠেলেছে, তাতে স্তম্ভিত হয়ে যায় আদালত। বৃহস্পতিবারের গোটা শুনানি পর্বে প্রধান বিচারপতির উল্লেখ্যযোগ্য পর্যবেক্ষণ ছিল, আইন তৈরির ২৭ বছরেও কেন স্পষ্ট নয় কে পুরভোট করবে! তবে এদিন আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্বাচন কমিশনকেই বিবেচনা করে দেখতে হবে ৪-৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা। তবে সচেতকদের মতে, এরই মাধ্যমে স্পষ্ট হল যে নির্বাচন সংক্রান্ত সর্বোচ্চ ক্ষমতা কমিশনকেই দিতে চায় আদালত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*