৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ৩৮ আসনে লড়বে বিজেপি

Spread the love

আগামী মাসেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গোয়াতে ১৪ ফেব্রুয়ারি এক দফায় নির্বাচনের দিনক্ষণ ধার্য হয়েছে। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলির শেষ মূহূর্তে প্রস্তুতি তুঙ্গে। জানা গিয়েছে ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ৩৮ আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে গোয়ার শাসক দল বিজেপি। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন গোয়া বিজেপির এক সিনিয়র নেতা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, বেনৌলিম এবং নুভেম বিধানসভা কেন্দ্র দুটিতে দলের তরফে দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী দেওয়া হবে না।

সাধারণত বেনৌলিম এবং নুভেম কেন্দ্র দুটিতে অ-বিজেপি প্রার্থীরাই বরাবর জিতে এসেছে। এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্র খ্রিস্টান অধ্যুষিত। এখানে খ্রিস্টান ভোটই প্রার্থীর জয় পরাজয়ে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বেনৌলিম কেন্দ্র থেকে এনসিপির টিকিটে জিতেছিলেন চার্চিল আলেমাও। সম্প্রতি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। নুভেম কেন্দ্র গত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী উইলফ্রেড ডি’সুজ়া জয়লাভ করেছিলেন কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। গোয়া বিজেপি সূত্রে খবর, ১৬ জানুয়ারির পর আনুষ্ঠানিকভাবে গোয়া বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।

বিজেপির সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করার জন্য গোয়া বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক চলছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা গোয়া বিজেপির ইনচার্জ দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ কোর কমিটি বৈঠকে পৌরহিত্য করছেন। এছাড়াও বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত, গোয়া বিজেপির সভাপতি সদানন্দ শেট তানাভদে সহ সিনিয়র নেতৃত্ব উপস্থিত থাকছেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ১৫ জানুয়ারি গোয়ার বিজেরি নেতৃত্ব দিল্লি যাবেন এবং দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হবে। এরপরই ১৬ জানুয়ারি দলের সংসদীয় বোর্ড প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করবে।

উল্লখ্য, বর্তমানে গোয়াতে বিজেপির ২৩ জন বিধায়ক রয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচন গোয়া বিজেপির কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যেই গোয়াতে তৃণমূল ও আম আদমি পার্টি পা রেখেছে এবং বিজেপি বিরোধিতার সুর সপ্তমে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। দেশের সব থেকে ছোট রাজ্যের শাসনভার বিজেপি ধরে রাখতে পারে কিনা তার উত্তর মিলবে আগামী ১০ মার্চ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*