আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে এবছরের সংসদীয় বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি পেশ করা হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। দুই দফার এই অধিবেশন হবে। কেন্দ্রীয় সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। প্রথম দফার অধিবেশন চলবে ৩১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময়ের বিরতি শেষে দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ১৪ মার্চ। চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
এদিকে, ইতিমধ্যেই সংসদের চারশোরও বেশি কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তাঁরা সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে সংসদের অধিবশন ঠিকভাবে পরিচালিত হবে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংসদের কক্ষগুলির স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন।
পাশাপাশি অন্যান্য প্রস্তুতির দিকগুলিরও খোঁজখবর করেন তিনি। ষাটোর্ধ্ব সাংসদদের বিশেষ খেয়াল রাখার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সংসদ চত্বরে করোনা পরীক্ষা ও টিকাকরণের ব্যবস্থা রেখেছি। এটা সত্যিই যে সংসদের বিপুল সংখ্যক কর্মীই করোনা আক্রান্ত। কিন্তু সকলেই ভাল আছেন। চিকিৎসকরা তাঁদের খেয়াল রাখছেন।’’
বিড়লার পাশাপাশি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুও করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সংক্রমণ রুখতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বাজেট অধিবেশন প্রতি বছরই জানুয়ারির শেষদিকে হয়। করোনা পরিস্থিতিতেও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি গত দু’বছরে। কিন্তু এবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সংশয় তৈরি হয়েছিল বাজেট অধিবেশন নিয়ে। অবশেষে সময়েই অধিবেশনের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ এখনও ঊর্ধ্বমুখীই রয়েছে। যতদিন যাচ্ছে, বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। ওমিক্রনকে হালকা ভাবে নেওয়ার ফল কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ ঘণ্টায় যেমন সংক্রমণের হার বাড়ল ৬.৭ শতাংশ। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও।
Be the first to comment