১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত, ওরফে স্বামী বিবেকানন্দ। বাবা বিশ্বনাথ দত্ত কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাটর্নি ছিলেন। নরেন্দ্রনাথ দত্তের ঠাকুরদা দুর্গাচরণ দত্ত সংস্কৃতের পণ্ডিত ছিলেন। মা ভুবনেশ্বরী দেবী ছিলেন সাধারন গৃহবধূ। ১৮৭১ সালে ৮ বছর বয়সে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। কিন্তু ছোটোবেলা থেকেই তিনি আধ্যাত্মিক হয়ে ওঠেন। সাহিত্য, সমাজ বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন সব বিষয়েই ছিল তাঁর বিশাল জ্ঞান। এছাড়াএ বেদ, উপনিষদ, ভগবত গীতা, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ ধর্মগ্রন্থেও তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিলো।
ইন্ডিয়ান ক্ল্যাসিকাল মিউজিকও শিখেছিলেন তিনি। এরপর ১৮৮৪ সালে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন নরেন্দ্রনাথ। এরপর ১৮৮১ সালে স্বামীজির প্রথম সাক্ষাৎ হয় শ্রী রামকৃষ্ণের সঙ্গে। সারা বিশ্বে হিন্দু ধর্মের প্রচার করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা নিয়ে গোঁড়ামির কোনও জায়গা ছিল না। নর নারায়ণের সেবাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন সবার আগে। তাই শিবজ্ঞানে জীবের প্রেমের কথা বলেন তিনি। এই মহামানব বিবেকানন্দই বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো শুরু করার পাশাপাশি শুরু করেছিলেন কুমারী পুজো। ১৯০২ সালের ৪ জুলাই, মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
এই মহামানবের ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশের পাশাপাশি কলকাতাতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বামীজির জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। বাংলায় এই বিশেষ দিনটিতে আমরা বিবেক চেতনা উৎসব পালন করি। দেশের উন্নতিকর্মে অবদানের জন্য তিনি ভারতের যুব প্রজন্মের কাছে নিদর্শন হয়ে থাকবেন।
এদিকে, বীর বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের এই দিনেই (১২ জানুয়ারি) জীবনাবসান হয়। দেশকে পরাধীনতার বন্ধন থেকে মুক্ত করতে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন করেন তিনি। ১৯৮৪ সালের ২২ মার্চ তৎকালীন বাংলার চট্টগ্রামের নোয়পাড়ায় জন্মগ্রহন করেন এই বীর বিপ্লবী। স্কুলের শিক্ষক ছিলেন বলে তিনি সাধারন মানুষের কাছে মাস্টার দা নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন। যদিও পরে এই নামেই সূর্ষ সেন সারা দেশের কাছে বহুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯১৮ সালে জেলার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
এদিন তাঁর মৃত্যুদিবসে শোকজ্ঞাপণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, বীর বিপ্লবী এবং শহীদ মাস্টার দা সূর্য সেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করছি।
Be the first to comment