প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে আবারও বোমাতঙ্ক রাজধানীতে। পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরীতে দুই বেওয়ারিশ ব্যাগকে ঘিরে ছড়াল বোমার আতঙ্ক। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে জঙ্গি হামলার গোয়েন্দা সতর্কতা মাথায় রেখে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় দিল্লি পুলিশ। পুরো জায়গাটি ঘিরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। তৎক্ষণাৎ বম্ব স্কোয়াড পৌঁছে পরীক্ষা করে ব্যাগ দুটি। যদিও ব্যাগ থেকে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পূর্ব) প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপ জানিয়েছেন, ব্যাগ দুটি থেকে ল্যাপটপ, চার্জার এবং জলের বোতল পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও ব্যাগের মধ্যে প্রচুর খাবারও ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কে কারা কি উদ্দেশে ওই ব্যাগ দুটি ওখানে রেখেছিল তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে ত্রিলোকপুরী অঞ্চল থেকে দিল্লি পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, রাস্তার ধারে বহুক্ষণ ধরে দুটি বেওয়ারিশ ব্যাগ পড়ে রয়েছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান আধিকারিকরা।
গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর গাজিপুরে একটি ফুলের দোকানের সামনে পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড। ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় IED। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিস্ক্রিয় করা হয় সেটি। গোয়েন্দাদের অনুমান, সবথেকে বেশি ক্ষতির লক্ষ্যে বাজারে ভিড় যে সময় বেশি থাকে সেসময়ই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল পাক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। কিন্তু, পুলিশি তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়। এর আগে শুধু পঞ্জাব নয়, দিল্লি এবং গুজরাট থেকেও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।
উল্লেখ্য, প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষা হচ্ছে বলে সতর্ক করে ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিশিষ্ট অতিথিদের উপর হামলার ছক কষেছে আতঙ্কবাদীরা, এমনই তথ্য হাতে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
ড্রোন ব্যবহার করেও এই হামলা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী লস্কর-ই-তৈবা, দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স, জইশ-ই-মোহাম্মদ, হরকাত-উল-মুজাহিদিন এবং হিজবুল-মুজাহিদ্দিন-এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি এই ছক কষার নেপথ্যে থাকতে পারে। গত কয়েকমাসে পঞ্জাব থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ২০ IED, ৫-৬ কেজি বিস্ফোরক, ১০০টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
Be the first to comment